সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলি হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের করা আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেছেন। পরে মামলাটি শুনানির জন্য আগামী বুধবার পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে।
Advertisement
গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানি শুরু করে পরবর্তী তারিখ ঠিক করে আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, শুনানিতে পেপারবুক থেকে মামলার এজহার, অভিযোগপত্র, সাক্ষী ও আসামির জবানবন্দি পড়ে শোনানো হয়। পরে হাইকোর্টের রায় থেকে পড়া শুরু করেছি। আগামী বুধবার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।
২০১২ সালের ৫ মার্চ গুলশানে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলি। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
Advertisement
নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এর ওপর শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
রায়ে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। অপর তিন আসামি মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, রফিকুল ইসলাম খোকনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। খালাস পান অপর আসামি সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ।
এক আসামিকে খালাস ও তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আপিল করে। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামি সাইফুল ২০১৪ সালে আপিল আবেদন করেন।
এফএইচ/বিএ
Advertisement