বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হয়েছে (৯ আগস্ট) বুধবার। ৩৫ লাখ নতুন ভোটার করার টার্গেট নিয়ে মাঠে নামলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে ১৪ লাখ নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া এ সময়ে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ৩৪১জন নাগরিক। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৩ জনের তথ্য সংগ্রহ করা গেছে। আর সব থেকে কম তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বরিশাল অঞ্চলে ৫৭ হাজার ২৫৮ জন নাগরিকের।
এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ জন, রাজশাহীতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১১২ জন, খুলনায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬১ জন, সিলেটে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯৫ জন, রংপুরে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৪ জন, ময়মনসিংহে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৫৮ জন, ফরিদপুরে ৮৪ হাজার ৫৩৯ জন ও কুমিল্লায় ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বুধবারের তথ্য সমন্বয় করতে পারেনি ইসি। বৃহ্স্পতিবার দেশের সবগুলো বিভাগ সমন্বয় করে জানানো হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে তাদের তথ্য নিচ্ছে ইসি। গত ২৫ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নূরুল হুদা ময়মনসিংহে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
Advertisement
ইসি জানিয়েছে, সংগ্রহকৃত এসব তথ্য নিবন্ধন কেন্দ্রে সংযোজনে ২০ আগস্ট থেকে কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হবে। তিনি ধাপে হবে এ কাজ। প্রথম ধাপে ১৮৩টি উপজেলায় ২২ দিনে, দ্বিতীয় ধাপে ২১৬টি উপজেলায় ২৮ দিনে, তৃতীয় ধাপে ১১৮টি উপজেলায় ২১ দিনে, মোট ৫১৭টি উপজেলায় ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন হবে। শেষ হবে ৫ নভেম্বর।
আর ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা যাবে। এরপরে ২ জানুয়ারি হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি। বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ১৮ জনের মতো ভোটার রয়েছে।
এইচএস/জেডএ/বিএ
Advertisement