খেলাধুলা

মাত্র দু’বছরেই জিদানের ইতিহাস

রিয়ালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন কঠিন এক সময়ে। রাফা বেনিতেজের অধীনে রিয়াল একের পর এক পরাজয়ের স্বাদই নিচ্ছিল শুধু। লা লিগায় শিরোপা লড়াই তো দুরে থাক, অনেক দুরে অবস্থান করছিল লজ ব্লাঙ্কোজরা। কোপা ডেল রে থেকে হয়েছে নিষিদ্ধ। স্বপ্ন টিকেছিল শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সে অবস্থায় দায়িত্ব নিয়ে শুধুই সাফল্য রচনা করে গেছেন জিনেদিন জিদান।

Advertisement

কথায় আছে- ভালো ছাত্র খুব কমই ভালো শিক্ষক হতে পারে। যেমন দিয়েগো ম্যারাডোনা। দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার। কিন্তু কোচ হিসেবে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ; কিন্তু জিনেদিন জিদান দেখিয়ে দিলেন ভালো ছাত্র ভালো শিক্ষকও হতে পারে। বল পায়ে যেভাবে সারা বিশ্বকে মুগ্ধ করে ছাড়তেন, যেভাবে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ এবং ইউরো জিতিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবে রিয়ালকেও পরিণত করেছেন বিশ্বসেরা ক্লাবে।

দায়িত্ব নেয়ার পর লা লিগা জিততে পারেননি। তবে, শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন লিগের ভাগ্য। সুযোগ যেটা ছিল, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ উপহার দিয়েছেন ক্লাবকে। পরের বছর, লা লিগা এবং টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতালেন লজ ব্লাঙ্কোজদের। সঙ্গে দুটি উয়েফা সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ।

অথ্যাৎ, রিয়ালের দায়িত্ব নিয়েছেন এখনও দু’বছর পূর্ণ হয়নি। এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদকে জিনেদিন জিদান উপহার দিয়েছেন ৬টি শিরোপা। ৬বার হাসি উপহার দিয়েছেন রিয়াল সমর্থকদের মুখে। সর্বশেষ মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলে নেয় জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ।

Advertisement

রিয়ালের সাবেক কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কের চেয়ে একটি শিরোপা পিছিয়ে রয়েছেন জিদান। যিনি রিয়ালের হয়ে জিতেছিলেন সাতটি শিরোপা। শুধু তাই নয়, জিদানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন আরও দু’জন কোচ। লুইস মলোনিজের চেয়ে দুটি শিরোপা পিছিয়ে জিদান। রিয়ালের সবচেয়ে সফল কোচ মিগুয়েল মুনোজ। তিনি জিতেছেন ১৪টি শিরোপা। অথচ, রিয়ালের হয়ে মাত্রই যাত্রাটা শুরু হয়েছে জিদানের।

এছাড়া জিদান নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, যেখানে শুধু বসে আছেন আরেকজন। আরিগো সাচ্চি। ১৯৯০ সালে তিনি টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতেছিলেন। এর ২৭ বছর পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে টানা দু’বার ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতলেন জিদান।

আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement