দেশজুড়ে

ডাক্তার হতে পারবে তামান্না!

তামান্না আফরোজের বাবা আব্দুল করিম পাঁচ বছর আগে তাদের ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পরিবারটি আজ নিঃস্ব। বিধবা মা আর তিন বোনের সংসার আফরোজাদের। মাত্র ৭ শতাংশ জমির দুটি টিনের চালা ঘরে খেয়ে না খেয়ে বসবাস তাদের। কুপি জ্বালাবার তেল যোগাড় করতে না পেরে অধিকাংশ সময় দিনের আলোয় পড়াশোনা করতে হতো তামান্নাদের। তবুও দারিদ্রতা দমাতে পারেনি তাকে।লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা গ্রামের তামান্না আফরোজ এবছর এসএসসি পরীক্ষায় বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে আবাক করে দিয়েছে। এ যেন ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো। দুঃখ আর কষ্ট নিয়ে পড়াশুনা করে সাফল্য কুড়িয়েছে তামান্না। এসএসসির ফরম পূরণের টাকা মা আছমা বেগম অনেক কষ্ট করে প্রতিবেশিদের কাছে ধার দেনা করে যোগাড় করে দিয়েছিলেন।তামান্না আফরোজ জাগো নিউজকে জানান, টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারিনি। অনেক সময় না খেয়ে স্কুলে যেতে হতো। বড় আপু রুনা লায়লার টিউশনির টাকায় আমাদের সংসার চলে।এখন স্বপ্ন ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেয়ার মতো ব্যবস্থা করবে কে? স্বপ্ন পূরণের বাধা দারিদ্রতা। কিন্তু দারিদ্রতা কী শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে এমন শঙ্কা কাটছে না তামান্নার।বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জাহিদুল বারী জাগো নিউজকে জানান, তামান্না আফরোজ অদম্য মেধাবী তার বাবা না থাকায় দারিদ্রতার শেষ নেই। সমাজের হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা পেলে হয়তো তার স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি তার সাফল্য কামনা করি।রবিউল হাসান/এমজেড/এমএস

Advertisement