মন্ত্রীসভায় কেবল পুরুষদের স্থান দেয়ার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনজন নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং একজন নাগরিক অধিকার সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
Advertisement
ইরানে ১২ জন ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো চালান। অথচ ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিল্পবের পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন নারী মন্ত্রীসভার সদস্য হয়েছেন।
পার্লামেন্ট অনুমোদিত মন্ত্রীসভায়ও সুন্নি সদস্যরা সংখ্যালঘু। শিয়াদের দেশ ইরানে সুন্নিদের সংখ্যা মাত্র ১০ শতাংশ।
পরিবার ও নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাসুমেহ ইবতেকার, আইন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে লায়া জনেদি এবং শাহিনদখত মওলাভারদি নাগরিক অধিকার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সহকারী হিসেবে।
Advertisement
শাহিনদখত মওলাভারদি বলেন, রুহানির এর আগের মেয়াদেও আমি এবং ইবতেকার দায়িত্ব পালন করেছি।
সংস্কারপন্থিদের ধারণা, ইরানের ধর্মীয় নেতাদের চাপের কারণে সংস্কার থেকে কিছুটা সরে এসেছেন রুহানি। এবারের মন্ত্রীসভায় খুব একটা পরিবর্তন নিয়ে না আসাটা তারই প্রতীক।
ইরানের বেসামরিক নাগরিকদের স্বাধীনতার মান উন্নয়ন এবং পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন হাসান রুহানি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘নারী, মধ্যমপন্থা এবং উন্নয়ন’ শিরোনামে এক কনফারেন্সে রুহানি বলেন, রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে আরও ভালভাবে নারীদের উপস্থাপন করবেন তিনি।
Advertisement
১৯৭৯ সালের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারজিয়াহ একমাত্র নারী, যিনি দেশটিতে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাহমুদ আহমেদিনেজাদের শাসনামলে তিনি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্র : বিবিসি
কেএ/এমএস