চলচ্চিত্র তারকা থেকে ইসলাম প্রচারক বনে যাওয়া অনন্ত জলিল বলেছেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে তার খ্যাতির ব্যবহার করে ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসে তরুণদের আকৃষ্ট করতে চান তিনি। চলচ্চিত্র ছেড়ে ইসলাম ধর্মের প্রচারে নামা জনপ্রিয় নায়ক অনন্ত জলিল বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানান।
Advertisement
অনন্ত জলিলের আগে চলচ্চিত্র ছেড়ে ইসলাম ধর্মের চর্চা শুরু করেন আরেক চিত্রনায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপি (২২)। হ্যাপির অতি-রক্ষণশীল ইসলামিক প্রচারক হয়ে উঠার গল্প নিয়ে লেখা একটি বই সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়ে।
গত মাসে রাজধানী ঢাকায় ৩৯ বছর বয়সী অনন্ত জলিলের হাজার হাজার ভক্ত তার বক্তব্য শুনতে বেরিয়ে আসেন। ইসলামিক পাগড়ি ও দীর্ঘ পাঞ্জাবি পরিহিত অনন্তের সেই সময়ের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে।
অনন্ত জলিল বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, চলতি বছরে মক্কায় হজ করার পর তিনি মসজিদভিত্তিক সুন্নি মুসলিম আন্দোলন তাবলিগ জামায়াতে যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের লাখ লাখ অনুসারী আছেন।
Advertisement
টেলিফোনে তিনি এএফপিকে বলেন, ‘মূল কারণ হচ্ছে আল্লাহ আমাদের জীবন দিয়েছেন...তার উপাসনা করার জন্য পৃথিবীতে আমাদের পাঠিয়েছেন। আমি তাবলিগ জামায়াতের কাছে এই বিষয়টি উপলব্ধি করতে শিখেছি।’ ‘আমি যদি তরুণ প্রজন্মের কাছে ইসলাম প্রচার করতে পারি, তারা আল্লাহর এবং নবী (সা.) এর বিধান অনুস্মরণ করবে। তারা দিনে পাঁচবার নামাজ আদায় করবে।’
হ্যাপির মতো জলিল বলেন, তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ অব্যাহত রাখবেন। তবে ইসলাম ধর্মের প্রচারের ওপর তার পরবর্তী চলচ্চিত্র নির্মিত হবে বলে জানান তিনি।
তৈরি-পোষাক উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন অনন্ত। পরে সিনেমা নির্মাণে অর্থায়ন করেন; এতে অভিনয়ও করেন তিনি। ২০১০ সালে ‘খোঁজ’র (দ্য সার্চ) মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ছয়টি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। অস্ত্র চোরাচালানের আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটকে ধরতে গোয়েন্দার ভূমিকায় অনন্তকে দেখা যায় তার প্রথম সিনেমায়।
কয়েক প্রজন্ম ধরে বাংলাদেশে আধুনিক ইসলামের চর্চা চলে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই চর্চার জায়গা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে কট্টর ইসলামি চর্চা দেখা যাচ্ছে।
Advertisement
আফগানিস্তান ও আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশে নারীদের বোরকা আরো সাধারণ হয়ে উঠছে। নতুন নতুন মসজিদ, মাদরাসা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কট্টরপন্থীরা প্রতীকী বিজয় অর্জন করেছে।
সূত্র : এএফপি।
এসআইএস/পিআর