ছোট পাত্রে বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ লাগিয়ে ছোট রাখাকে বনসাই বলা হয়। বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনসাই চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। এছাড়া ঘরের কোণে বা ছাদে রাখলেও সৌন্দর্য বাড়ে। তাই প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করে দিন কাজ; সফলতা আসবে নিশ্চিত।
Advertisement
স্থানবনসাই চাষের জন্য রোদ নেই কিন্তু আলো-বাতাস আছে এমন জায়গা নিতে হবে। যেমন- ফ্ল্যাটের বারান্দা, বাসার ছাদ অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস ঢোকে এমন ঘর।
গাছপ্রথমেই সঠিকভাবে গাছ নির্বাচন করতে হবে। এর জন্য ফলদ ও বনজ গাছ নির্বাচন করা ভালো। এ ক্ষেত্রে বট, পাকুর, হিজল, অশ্বত্থ, ডুমুর, ডালিম, কদম, নিম, জামরুল, তেঁতুল, করমচা ও কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি উপযুক্ত গাছ।
যন্ত্রপট, হাফ ড্রাম, সিমেন্ট বা মাটির টব, স্টিল বা প্লাস্টিক ট্রে, সিকেচার, কোদাল, কাচি, ঝরনা, বালতি, করাত, খুরপি, স্প্রে মেশিন, দোঁ-আশ মাটি, পঁচা শুকনা গোবর ও কম্পোস্ট, বালু, ইটের খোয়া ইত্যাদি।
Advertisement
মাটিটবে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে জৈব সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। টবের পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্রের উপর ইটের কুচির পরিবর্তে এক টুকরা তারের জালি রেখে তা কিছু কাঁকড় দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ধাপকাণ্ড, শেকড়, শাখা-প্রশাখা ও পাতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। টবের ছোট গাছে বয়োবৃদ্ধ গাছের ভঙ্গিমা আনার চেষ্টা করতে হবে। বনসাইকে যে মডেলের রূপ দেওয়া হবে তা স্থির করে শাখা বাছাই করতে হবে। জোড়া পাতার কক্ষ থেকে কাণ্ডের দু’পাশের দু’টি শাখা গজায়। বাছাই পদ্ধতি অনুসারে এর একটি রাখতে হবে।
ছাঁটাইবয়স ৩-৪ বছর হলে প্রুনিংয়ের প্রয়োজন হয়। বাছাই করা মোটা শাখাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাঁটাই করতে হবে।
তার বাঁধাশাখাকে সুন্দর ভঙ্গিমায় আনতে তার বাঁধা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই সরল শাখায় তার জড়িয়ে আঁকাবাঁকা রূপ দিতে হবে।
Advertisement
পরিচর্যা• গাছকে নিয়মিত কালো মাটি, বালু বা ইটের চূর্ণ, সরিষা বা নীলের খোসা ইত্যাদি খাবার দিতে হবে।• অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা এবং রোদ থেকে দূরে রাখতে হবে।• ধুলো-ময়লামুক্ত রাখতে পানি দিয়ে পাতা ও ডাল মুছে দিতে হবে।• টবের মাটিতে পোকামাকড় কিংবা ছত্রাক হলে সঠিক মাত্রায় কীটনাশক দিতে হবে।• এমন স্থানে রাখতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস চলাচল করে কিন্তু লোকজনের যাওয়া-আসা কম।• নির্ধারিত আকৃতি ঠিক রাখতে নির্ধারিত ডালপালা বাদে ছাঁটাই করতে হবে।• প্রতি একবছর অন্তর টবের মাটি পরিবর্তন করতে হবে।• গাছের ছাঁটাইসহ অন্যান্য কাজে নির্ধারিত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে।
এসইউ/এমএস