জাতীয়

৯ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৫৫৮০ একর জমি অধিগ্রহণ হবে

বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে বড় আকারের ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মিত হবে কয়লা ও আমদানি করা তরল গ্যাসনির্ভর এসব কেন্দ্র। এজন্য অন্তত ৫ হাজার ৫৮০ একর জমি অধিগ্রহণ করার চিন্তা করছে সরকার। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোও হয়েছে।

Advertisement

এদিকে, প্রস্তাবনার ওপর কমিশনের আয়োজনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তাবটি পুনর্গঠন করে আবারও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিদ্যুৎ বিভাগ।

জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় পাওয়ার হাব গড়ে তুলতে ৫ হাজার ৫৮০ একর জমরে প্রয়োজন হবে। এতে ৯টি ব্লকে (বিদ্যুৎকেন্দ্র) মোট ১৩ হাজার ৪৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এসব হবে কেন্দ্র কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক।

Advertisement

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ৮টিতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক হবে। অন্যটি হবে ৩ হাজার মেগাওয়াট এলএনজিভিত্তিক কমবাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র। সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গোপসাগর উপকূলে ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটারের মহেশখালী উপজেলাকে কেন্দ্র করে নিয়ে সরকারের বিরাট পরিকল্পনা। এ কারণে ওইখানে বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপশি মহেশখালীতে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্প-প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে, সেখানে মোট ১৩ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক ৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহায়ক অবকাঠামো প্রস্তুত করা হবে। এ বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৩ হাজার ৯৫ মেগাওয়াট। যা বছরে ১০ শতাংশ করে বাড়ছে। ২০২১ সাল নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার ৮৩৮ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। ২০৩০ সালে বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে ৩৩ হাজার ৭০৮ মেগাওয়াটে।

এজন্য সরকার স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

Advertisement

এমএ/এসআর/এমএস