দেশজুড়ে

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নোয়াখালী নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২৭ শিক্ষার্থী

নোয়াখালী নার্সিং ইনস্টিটিউটের আবাসিক হলে রাতের খাবার খেয়ে প্রথম বর্ষের ২৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের বুধবার সকালে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।

Advertisement

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, প্রথম বর্ষের দিলরুবা, সুমী আক্তার, মুন্নি আক্তার, ছকিনা বেগম, জান্নাত বেগম, আইরিন আক্তার, জোসনা বেগম, দিলরুবা, রোজিনা, ফারজানা, রোখসানা, আঁখি আক্তার, খাদিজা বেগম, আখী, সিমি গোঞ্জেলা, তাপসী, রিপা, তামান্না, মেরী সুশিল, সুমি, ফাহিমা, ঋতু আক্তার, শম্পা, ফারজানা, ভাবনা।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ৮টায় রাতের খাবার খেয়ে ১০টার পর থেকে অনেকেরই বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। ভোরে তাদের তিনটি রুমের প্রায় সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তারা বিকেলে হলে রান্না করা চটপটি খেয়েছিলেন। কী কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন বুঝতে পারছেন না।

নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (ইনচার্জ) বেবি সুলতানা জানান, আবাসিক হলে প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী থাকলেও রাতে খাবার খেয়ে শুধুমাত্র প্রথম বর্ষের তিনটি কক্ষের ২৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতে অল্প কয়েকজন অসুস্থ হলেও সকালে ধীরে ধীরে এর সংখ্যা বাড়তে থাকে। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদেরকে দ্রুত নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, হলের খাবারে সমস্যা হলে তো সবাই অসুস্থ হতো।

Advertisement

এদিকে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বিকেলে চটপটি খেয়েছিলেন। রাত ১০টার পর তাদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হন। ভোর বেলা থেকে আস্তে আস্তে সবাই অসুস্থ হতে থাকে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আ ন ম সামছুল করিম জানান, তারা অসুস্থদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কনসালটেন্টগণও অসুস্থদের সুস্থ করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন। এদের মধ্যে দু’জন একটু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে কী কারণে হয়েছে তার সঠিক তথ্য নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।

মিজানুর রহমান/এফএ/পিআর

Advertisement