ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী সিঙ্গাপুরে তার মালিকের চোপার্ড লেডিস ব্র্যান্ডের ঘড়ি, সাপের চামড়ার তৈরি হাত ব্যাগ, কুমিরের চামড়ার তৈরি গোলাপি রংয়ের ওয়ালেট চুরি করে পালিয়ে যান। চুরি করা ঘড়ির দাম ২৮ লাখ ৩৬ হাজার সাতশ ৫০ টাকা, ব্যাগের দাম ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫ টাকা এবং ৮১ লাখ পাঁচশ টাকা দাম ওয়ালেটের।
Advertisement
চুরির ১১ মাস পর দামি ওই জিনিসগুলোর ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেন ৩২ বছর বয়সী সিতি নূর সোপিয়াতি। ততদিনে সিঙ্গাপুরেই নতুন এক প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
কিন্তু আগের প্রতিষ্ঠানের মালিক লিসা লে তার বোনের কাছ থেকে ইনস্টাগ্রামে তার চুরি যাওয়া জিনিসগুলোর ছবি ছাড়ার বিষয়টি জানতে পারেন। তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেন তিনি।
পুলিশ সিতি’কে গ্রেফতার করে; সোমবার তাকে বিচারের জন্য নিয়ে আসা হলে ১২ মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত। জানা গেছে তিনি আরও বেশ কিছু দামি জিনিসপত্র চুরি করেছেন।
Advertisement
প্রসিকিউশন অফিসার কেভিন লি মিং বলেন, ওই নারী তার মালিকের বাড়িতে শো’বার ঘর পরিষ্কার করতেন। সেখানে আরেকজন ইন্দোনেশিয়ার নারী কাজ করতো। তারা দু’জনে মিলে চুরিটা করেছেন। যাতে কেউ তাকে সন্দেহ করতে না পারে, সেজন্য তিনি ওই নারীকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার পর কিছুদিন ওই বাড়িতে কাজ করেন।
কিন্তু বাড়ির লোকজন যখন বুঝতে পারেন, তাদের মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। ততোদিনে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। গত বছরের মার্চের শেষের দিকে বিষয়টা বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেন তার স্বামী।
তাদের সন্দেহ ছিল ওই দুজনের মধ্যে একজন চুরিটা করেছে। কিন্তু তরুণীর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় নতুন স্থানে তিনি আবার কাজের সুযোগ পান।
কিন্তু চলতি বছরের নভেম্বরের দিকে ওই জিনিসপত্র সহ তিনি একটি ছবি ইন্সট্রাগ্রামে পোস্ট করেন তিনি। পরে সেই ছবি চোখে পড়ে জিনিসগুলোর মূল মালিক লিসা লে’র বোনের।
Advertisement
আগামী বছরের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কারাগারে কাটাতে হবে ধূর্ত এই তরুণীকে।
সূত্র : দ্য স্টার
কেএ/এমএস