কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে আগামী সাতদিনের মধ্যে।
Advertisement
এক কোটি ৯০ লাখের বেশি ভোটার মঙ্গলবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ হাজার আটশ ৮৩ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন। মাত্র ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করায় দিনের শুরুতেই লোকজন ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে ভিড় জমাতে থাকেন।
৫৫ বছর বয়সী বর্তমান প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী রাইলা ওদিঙ্গার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন রাইলা।
বিবিসি বলছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হলেও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন মেনে নেয়ার অঙ্গীকার করে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।
Advertisement
তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেও নির্বাচনী ফল মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কেনিয়াত্তা বলেছেন, এক জাতি হিসাবে কেনিয়ানদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।
৪৩ বছর বয়সী নিরাপত্তারক্ষী আগ্রে চার সন্তানের জনক। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার হিসাবে ভোট দিতে পেরে তিনি খুব খুশি হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোট দেয়ার পদ্ধতি খুব সহজ ছিল। পরিবেশও খুব শান্ত ছিল। আমি দুপুর ২টায় ভোট দিতে এসেছি। আমি চাই দেশের সবচেয়ে ভাল মানুষটি জয়লাভ করুক।
দুই সন্তানের জননী ৩৫ বছর বয়সী অ্যালাইস উইথাকা। বিকাল ৪ টায় ভোট দিতে এসেছেন তিনি। ভোট দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েননি।
Advertisement
ভোট কেন্দ্রের সূত্রগুলো বলছে, এবারের নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। দু’জনের জনপ্রিয়তা সমান পর্যায়ে রয়েছে। কেনিয়া রাষ্ট্রের জনকের ছেলে কেনিয়াত্তা। রাইলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার বাবা ছিলেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।
পাঁচ বছর আগে রাইলাকে পরাজিত করেছিলেন কেনিয়াত্তা। ওই নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট ফলাফল ঘোষণার আগেই ফলাফলের বিরোধিতা করেছিলেন রাইলা। নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে অবশ্যই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে। অন্যথায় নতুনভাবে ভোটগ্রহণ হবে।
নির্বাচনে কেনিয়াত্তার প্রতিশ্রুতি হল, দেশে ১০ লাখের বেশি নতুন চাকরির ব্যবস্থা করবেন তিনি। বসবাসের খরচ কমানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; যেখানে ৪৭ শতাংশ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। তিনি দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনেরও ওয়াদা করেছেন।
অন্যদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাইলা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে দুর্নীতিতে ১৭৬ দেশের মধ্যে কেনিয়ার অবস্থান ১৪৫তম।
সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি।
কেএ/এসআইএস/আরআইপি