উপজেলা পরিষদের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা ৩ হাজার ১১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোয় চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮৬৬ জনে। এর মধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ছয়জন প্রার্থী। শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। রোববার চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন প্রার্থীরা। উপজেলার সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারে মুখর সারাদেশে এখন বইছে নির্বাচনী হাওয়া।গত ১৩ মে ৪৭৮ উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সীমানা জটিলতার কারণে সাত উপজেলাতে নির্বাচন স্থগিত হয়। অবশিষ্ট ৪৭১ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ২১ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ মে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩০ মে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো প্রায় দেড় হাজার মহিলা সদস্য উপজেলা পরিষদে যোগ দেবেন এবং উপজেলা পরিষদ পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। এর আগে সাবেক ড. শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কিন্তু ওই কমিশন আইনি বাধ্যবাধকতা থাকার পরও উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা আসন পূরণে কোনো উদ্যোগ নেননি। ফলে উপজেলা পরিষদে মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ পরিষদ গঠন করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান কমিশন চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত পদ পুরণের উদ্যোগ নেন। উপজেলা পরিষদে মহিলা সদস্য পদের নির্বাচনে ভোটার হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা। সদস্যপদে প্রার্থীও হবেন ইউনিয়ন ও পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা। আইন অনুযায়ী, প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের সমান সংখ্যক পদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কোনো উপজেলায় ১৫টি ইউনিযয়ন থাকলে পরিষদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত পদের সংখ্যা হবে পাঁচটি।এইচএস/বিএ/আরআইপি
Advertisement