বিনোদন

পরিবেশ দিবসের টেলিছবি গাছবন্ধু

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে চ্যানেল আইতে ৫ জুন প্রচার হবে দেশের প্রথম প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক টেলিছবি ‘গাছবন্ধু’। ইমদাদুল হক মিলনের গল্প নিয়ে এ টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। এ উপলক্ষে গেল শনিবার দুপুরে চ্যানেল আই ভবনে টেলিফিল্মটির প্রিমিয়ার শো’র আয়োজন করা হয়েছিলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, টেলিফিল্মটির গল্পকার, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেত্রী মৌটুসী এবং অন্যান্য শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ।ইমদাদুল হক মিলনের গল্পে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন ও পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শর্মিলী আহমেদ, মৌটুসী বিশ্বাস, রোমান সারোয়ার, বহতা নদী, এশা, জাহিন প্রমুখ। টেলিফিল্মটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে ৫ জুন শুক্রবার বিকেল ৩.০৫ মিনিটে। একইদিন থেকে টেলিফিল্মটির ডিভিডি’র কপিও অডিও বাজারে পাওয়া যাবে।গল্প সম্পর্কে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, গাছের চেয়ে বড় বন্ধু আর কিছুই নেই। গাছই আসল আর মানুষ রঙ করা এক ধরণের পুতুল। প্রকৃতির প্রতি এই ভালোবাসা থেকেই আমার গল্পের সূচনা।  মৌটুসী বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এমন একটি চরিত্র খুঁজেছি অনেকদিন থেকে। আমাকে নির্বাচন করার জন্য প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ। চেষ্টাও করেছি ভালো কিছু উপহার দিতে। এরপর টেলিফিল্মটি উপস্থিত অতিথি ও সাংবাদিকদের জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।’টেলিছবিটির গল্পে দেখা যাবে মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত মেয়ে লতা। জাফর-মায়ার একমাত্র সন্তান। সবুজে মোড়ানো গ্রামে তার বেড়ে ওঠা। প্রকৃতি থেকে নিজেকে কখনো আলাদা ভাবতে পারে না। ভালোবাসে গাছ, ফুল, লতা-পাতা, পাখি। কেউ যদি গাছের গায়ে আঁচড় কাটে; সে আঁচড় লাগে তার গায়ে। গাছের একটা ডাল কিংবা পাতা ছিঁড়লে তার কষ্ট হয়। বয়সে ছোট হাসি, খুশি, রাসেলদের লতা বুঝায়- মানুষের মতো গাছেরও জীবন আছে। কষ্ট আছে। দুঃখ আছে। আঘাত করলে গাছও ব্যথা পায়। রক্ত ঝরে। গাছের প্রতি ভালোবাসা মমত্ববোধ লতার অস্বাভাবিক কিনা তা নিয়ে জাফর-মায়া উভয়ই চিন্তিত। বিয়ে দিলে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে এমনটা ভাবেন তারা। বিয়ের কথাবার্তা চলে। শহরে প্রতিষ্ঠিত এক ছেলে দেখতে আসে লতাকে। প্রায় প্রকৃতিশূন্য শহরে চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটানোর কথা কল্পনাও করতে পারে না লতা। এ বিয়েতে সে অসম্মতি জানায়। চিন্তিত হয়ে পড়েন জাফর-মায়া। এটা মানসিক কোনো রোগ নয়তো?  লতার সাথে কথা বলে; দেখে শুনে লতাকে স্বাভাবিক বলেই সিদ্ধান্ত দেন ডাক্তার। পরামর্শ দেন; লতার মনের বিরুদ্ধে কোনো কাজ না করতে। লতার ‘গাছ ভালোবাসার অসুখ’ সারাতে জাফর সাহেব লতার প্রিয় গাছটিকে কেটে ফেলে রাখেন উঠোনে। প্রিয় গাছের এমন করুণ পরিণতি দেখে কান্নায় ভেঙে পরে লতা।  দিনে দিনে নিজেকে নিজের ভেতর গুটিয়ে নিতে থাকে। সেই উচ্ছল প্রাণবন্ত লতা এবার সত্যি সত্যি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। লতার এমন অবস্থায় পরের দিনগুলোতে জাফর সাহেব গাছের চারা লাগিয়ে সারা বাড়ি ভরিয়ে তোলেন সবুজে। সেই সবুজ রঙের ছোঁয়ায় দুলে ওঠে লতার মন। আবার সে ফিরে পায় চঞ্চলতা। মেয়ের খুশিতে প্রাণ ফিরে পায় জাফর-মায়াও।এলএ/আরআইপি

Advertisement