তথ্যপ্রযুক্তি

ভারতে শিশুর আত্মহত্যা : সন্দেহ ‘ব্লু হোয়েল’

ভারতের মুর্শিদাবাদে ১২ বছরের এক শিশুর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু নিয়ে নিষিদ্ধ অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’ -এর দিকে আঙুল ওঠেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার মামলা রেকর্ড করলেও ধারণা করা হচ্ছে এটি ‘ব্লু হোয়েল’ গেমরই প্রভাব!

Advertisement

আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জনানো হয়, বাড়ির তিনতলার চিলেকোঠায় কুকুর বাঁধার বেল্ট গলায় পেঁচানো রাখা অবস্থায় ঋতুরাজ দাস (১২) নামের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার মামলা রেকর্ড করেছে। তবে এ ঘটনা কীভাবে ঘটলো তা খুঁজতে গিয়ে ‘ব্লু হোয়েল’ জাতীয় কোনো নিষিদ্ধ অনলাইন গেমের হাতছানি রয়েছে কিনা তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

ঋতুরাজের মা হৈমন্তী জানিয়েছেন, ‘ওর (ঋতুরাজ) কোনো ফোন ছিল না। কিন্তু আমার মোবাইল নিয়ে সর্বক্ষণ অনলাইন গেম খেলত। চাপা স্বভাবের ছেলে ছিল, তবে কখনো অস্বাভাবিকতা চোখে পড়েনি কখনও। মানসিক অবসাদে ভুগছে এমটাও মনে হয়নি।’

ঋতুরাজ জিয়াগঞ্জের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ত। সে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ঋতুরাজের আচরণে কোনো অসংলগ্নতা দেখেননি। তারাও সন্দেহ করছেন অনলাইন গেমকে।

Advertisement

মা হৈমন্তীও বলেন, ‘ওই সব গেমের মোহে কোনো কায়দা করতে গিয়ে সিঁড়ির রেলিংয়ে পা রাখতে না পেরে ঝুলে গেল কি না কে জানে!’

উল্লেখ্য, ‘ব্লু হোয়েল’ একটি অনলাইন গেম। এ গেমে প্রতিযোগীদের মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক লেভেল খেলতে হয়। এসব লেভেলের টাস্কগুলো খুবই ভয়ংকর। প্রথম দিকের ধাপগুলো অপেক্ষাকৃত কম ভয়ংকর হওয়ায় টাস্কগুলো বেশ মজার। আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে কিশোর-কিশোরীরা এবং আত্মনির্যাতনমূলক বিভিন্ন টাস্ক সামনে এলে অনেকটা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

আরএস/আইআই

Advertisement