নারী-পুরুষ সমান অধিকার থাকলেও লিঙ্গ বৈষম্য না থাকা দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে কোনো ভাবেই বাংলাদেশের নাম উঠে আসবে না। তবে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নারীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য অনেকটাই কমে এসেছে।
Advertisement
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন একজন নারী। এছাড়া নারী মন্ত্রী, স্পিকার এবং রাষ্ট্রদূত রয়েছে। এমনকি দেশের নয়টি জেলায় প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন নারী।
এসবের বাইরেও দেশের অন্যতম প্রধান খাত গার্মেন্টে কাজ করা শ্রমিকদের বেশিরভাগই নারী। অন্যান্য কাজকর্মেও পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
নারীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য বেশ কিছু সংগঠন কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও গুরাত্বারোপ করে।
Advertisement
নারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্যও অনুপ্রেরণা দেয়। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারেও প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহ দিয়ে থাকে।
ব্র্যাকের একজন পরিচালক কে এ এম মোরশেদ (পরিচালক, অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, টেকনোলজি অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্ট্রেংদেনিং ইউনিট) বলেন, পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে চিরাচরিতভাবেই পুরুষরা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, কী করা হবে, কী কেনা হবে। সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন পুরুষরা। এটাই বাংলাদেশের সামাজিক নিয়ম। জীবনধারণের ক্ষেত্রেও নারীদের চলাফেরার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তবে চিরাচরিত সেই প্রথা অনেকটাই বদলে গেছে। ছেলে-মেয়েরা এখন একসঙ্গে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে সমানভাবে কাজ করছে।
বেড়াতে যাওয়ার সময় কেবল পুরুষরা আর যাচ্ছে না। পরিবারের নারী সদস্যরাও ট্যুরে অংশ নিচ্ছে। দোকানি হচ্ছে নারীরা। উদ্যোক্তা হচ্ছে নারীরা।
Advertisement
তার পরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অধস্তন ভাবার নজির যে একেবারে শেষ হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়। তবে ইতিবাচতভাবে অনেক কমে গেছে সেই মাত্রা। এখন চাইলেই কোনো নারী গভীর রাতেও রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে পারছে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারছে। আর এভাবেই দিনে দিনে কমে যাচ্ছে লিঙ্গ বৈষম্য।
সূত্র : সিজিটিএন
কেএ/আরআইপি