শিক্ষা

এসএসসির উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটি : ৭২ পরীক্ষককে শোকজ

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার (এসএসসি) উত্তরপত্র মূল্যায়নে ত্রুটির কারণে ৭২ পরীক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে সোমবার (৭ আগস্ট) পরীক্ষকদের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষা-২০১৭ এর উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরীক্ষকদের বিভিন্ন ধরণের ভুল-ত্রুটি হয়েছে। বিষয়টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের সময় প্রমাণিত হয়েছে। এটি উত্তরপত্র মূল্যায়নের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে দায়িত্ব পালনে অবহেলার সামিল।

এজন্য ওই পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সাত কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে এর জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে নোটিশে।

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এসএসসির খাতা পুনঃনিরীক্ষণের সময় আমরা বিভিন্ন ধরণের ভুল পেয়েছি। খাতায় কোনো কোনো উত্তরের নম্বর দেওয়া ছিল না। কোথাও বা নম্বর ট্রান্সফারের সময় ভুল হয়েছে।’

এবারই প্রথম খাতা দেখার ভুলের জন্য শোকজ করা হল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষকের একটা ভুলের জন্য একজন শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পরীক্ষকরা যাতে বোঝেন যে ভুল করলে ধরা পড়তে হবে। অনেক পরীক্ষকের ধারণা পরে আর খাতা পড়া-টরা হয় না।’

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘যারা পুনঃনিরীক্ষণ করেছেন তাদের বলেছি আপনাদের খাতাও বাছাই করে দেখব। সেখানে ভুল হলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।’

গত ৪ মে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এই পরীক্ষায় ১০টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পায় এক লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন পরীক্ষার্থী। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ। এরমধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৮৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।

Advertisement

এ বছর ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত এসএসসির উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে শিক্ষার্থীরা। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হয় ৩০ মে। এতে ঢাকা বোর্ডের এক হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে ফি দিতে হয়।

* শোকজ নোটিশপ্রাপ্ত পরীক্ষকদের তালিকা

আরএমএম/এসআর/এমএস