জাতীয়

চলে গেলেন ফিরোজা বেগম

বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম আর নেই।  রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‍অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি। ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)এর আগে বিকেলে চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, ফিরোজা বেগমের হূদ্যন্ত্র ও কিডনি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। পাশাপাশি তাঁর শরীরে জন্ডিস ধরা পড়েছে। জানা গেছে, তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য সব ধরনের চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু চিকিত্সায় সেভাবে সাড়া না দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। রাত রাত আটটা ২৮ মিনিটে সবাইকে কাদিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।ফিরোজা বেগমের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান জেলা) রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে। তাঁর বাবার নাম খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল এবং মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা। ১৯৫৫ সালে বিরলপ্রজ সুরকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর তিন সন্তান - তাহসিন, হামীন ও শাফীন।

Advertisement

শিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা।এক শোকবাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ফিরোজা বেগম উপমহাদেশের সংগীত জগতে বিশেষ করে নজরুল সংগীতের পথিকৃত শিল্পী ছিলেন। নজরুল সংগীতকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।”রাষ্ট্রপতি বলেন, “ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে জাতি একজন প্রতিভাবান ও বরেণ্য শিল্পীকে হারালো। এ ক্ষতি অপূরণীয়।”প্রধানমন্ত্রীর শোকএই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “তার মৃত্যু বাংলাদেশের সংগীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি।”প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এক শোক বিবৃতিতে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ফিরোজা বেগম তার কিন্নর কণ্ঠে কবি নজরুলের গান ধারণ করেছিলেন, মানুষের মাঝে প্রচার করেছিলেন। ফিরোজা বেগমের মৃত্যু বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি।”