আমাদের ঋতুবৈচিত্র্যের সঙ্গে বারো মাস এবং প্রকৃতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এখন শ্রাবণ মাস, চলছে বর্ষাকাল। এই শ্রাবণ শেষেই হবে বর্ষার বিদায়। আসবে নতুন মাস, নতুন ঋতু। প্রকৃতির ধরনও যাবে পাল্টে। ছবি তুলেছেন জাগো নিউজের আলোকচিত্রী মাহবুব আলম-
Advertisement
‘শ্রাবণ’ বাংলা সনের চতুর্থ মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের পঞ্চম মাস। শ্রাবণ মাস শেষেই বর্ষার সমাপ্তি ঘটে। শ্রাবণ নামটি এসেছে ‘শ্রবণা’ নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে।
মাস হলো সময় গণনা করার একটি একক। চাঁদের পূর্ণ একটি পরিক্রমকালের সঙ্গে এর সম্পর্ক রয়েছে। কেননা মাসের ধারণার উদ্ভব হয় ‘চাঁদের কলা’ থেকে। এ ধরনের মাসকে ‘চান্দ্র মাস’ বলা হয়ে থাকে।
পুরাতত্ত্ববিদরা পঞ্জিকা হিসেবে ব্যবহৃত মাপকাঠি পেয়েছেন। যা দেখে বোঝা যায়, প্যালিওলিথিক যুগ থেকে মানুষ চাঁদের কলার ভিত্তিতে মাস হিসাব করে আসছে।
Advertisement
বাংলা বা হিন্দু বর্ষপঞ্জির মাসের নাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। ভারতে প্রচলিত হিন্দু সৌর পঞ্জিকানুসারে বঙ্গাব্দের মাস হিসেবে শ্রাবণ মাস ৩১ দিনের। এ মাসে কর্কট রাশিতে সূর্য অবস্থিত থাকে।
ছয় ঋতুর বাংলাদেশে আষাঢ় এবং শ্রাবণ মাস মিলে বর্ষাকাল। যা মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের অঞ্চলগুলোতে উদযাপিত একটি ঋতু। তখন মৌসুমী বায়ুর প্রভাব সক্রিয় হওয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়।
বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুয়ায়ী, বর্ষা হচ্ছে বাংলা বছরের দ্বিতীয় ঋতু। যেখানে আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাসজুড়ে বর্ষাকাল ব্যাপৃত থাকে। বাংলা বছরে বর্ষার আগের ঋতুটি রৌদ্রতপ্ত গ্রীষ্ম আর পরের ঋতুটি শ্যামল শরৎ।
বাংলাদেশে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে তথা বর্ষাকালে ফোটে শাপলা, কদম, কামিনী, কেয়া, কৃষ্ণচূড়া, ক্যাজুপুট, গগনশিরীষ, নাগেশ্বর, মিনজিরি, সেগুন, সুলতান চাঁপা, স্বর্ণচাঁপা নামের বিভিন্ন ফুল।
Advertisement
এসইউ/এমএস