অর্থনীতি

এশিয়া প্যাসিফিকের অনলাইন বাণিজ্যজোটে বাংলাদেশ

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কাগজহীন অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্যের জোটে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য ‘ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট অন ফেসিলিটেশন অব ক্রস বর্ডার পেপারলেস ট্রেড ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ এ বাংলাদেশের পার্টি হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

Advertisement

সোমবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ইউএন এসকাপের (ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) ৭২তম সেশনে একটি সিদ্ধান্ত হয়- তা হলো এসকাপের অন্তত পাঁচটি সদস্য দেশ এই ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টে সই করবে ও পার্টি হবে। বাংলাদেশ এটার পার্টি হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে কার্যক্রম চালায়। আজ মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রিসভা এটাতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে।’

‘শর্ত অনুযায়ী পাঁচটি দেশ এটি অনুসমর্থন করলে এটি কার্যকর হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটি (অনুসমর্থন দেয়া) উন্মুক্ত আছে।’

Advertisement

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে পেপারলেস ট্রেড চালু করা। অনলাইন ট্রেড সিস্টেম চালু করা। মূলত ইজ অব ডুইং বিজনেস (ব্যবসার প্রক্রিয়াগুলো সহজ করা), ব্যবসাটা যেন স্মোথলি রান (নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাওয়া) করে এটার জন্য পেপারলেস সিস্টেমটা একটা বড় ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। পেপারলেস সিস্টেম হলে কাজের জন্য সুবিধা হবে, সময় বাঁচবে এটা আলোচনায় এসেছে।’

নজরুল ইনস্টিটিউট আইন চূড়ান্ত অনুমোদন

এছাড়া মন্ত্রিসভায় ‘নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটি আগে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) আকারে ছিল, এর নাম ছিল নজরুল ইনস্টিটিউট অর্ডিন্যান্স-১৯৮৪। এটি বাংলা রূপান্তর করে নতুন আইন হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের মধ্যে বলা যায়, আগে বোর্ডে সাতজন সদস্য ছিল। এখন দুইজন বাড়িয়ে নয়জন করা হয়েছে।’

আরএমএম/জেডএ/জেআইএম