দেহব্যবসার অভিযোগে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে হায়দরাবাদ পুলিশ৷ শোনা যাচ্ছে এরপর থেকেই দক্ষিণের বেশ কিছু অভিনেত্রী রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন৷ আসলে, শ্বেতার মত আরও অনেক অভিনেত্রী রয়েছেন যারা দেহব্যবসার সঙ্গে জড়িত৷ তাদের ভয় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শ্বেতা তাদের নাম প্রকাশ্যে না নিয়ে আসে৷সোমবার জানা গিয়েছিল যে শ্বেতা সেই সমস্ত ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ করতে চলেছেন যারা সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন৷ যদিও জানা যায় পুলিশ অভিযুক্ত ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে৷ পুলিশ গত ৩১ অগস্ট রাতে হায়দরাবাদের বাঞ্জারা হিলসের একটি হোটেল থেকে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে৷ কিন্তু তার সঙ্গে যে ব্যবসায়ীরা ছিলেন তাদের প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ৷দক্ষিণী ফিল্মের কাস্টিং ডিরেক্টর এসএম স্বামী জানিয়েছেন, তেলেগু, তামিল, কন্নড় ও মালয়ালম ফিল্মের অনেক নায়িকাই বর্তমানে প্রমাদ গুণছেন৷ তারা মনে করেন শ্বেতা বিশাল একটা চক্রের পর্দাফাঁস করতে পারে যাতে তাদের জীবনে ব্যপক ক্ষতি হতে পারে৷দেহব্যবসার অভিযোগে শ্বেতাই যে প্রথম গ্রেফতার হলেন তা কিন্তু একেবারেই নয়৷ সাউথের ব্লকবাস্টার ফিল্মের নায়িকারাও এর আগে দেহব্যবসার অভিযোগে শ্রীঘরে গিয়েছিলেন৷ তাদের তালিকাটাও নেহাতই ছোট নয়৷শুধু অভিনেত্রীই নয় অভিনেতা পবন কুমারকে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়৷ এছাড়াও কন্নর ফিল্মের নির্দেশক ওমপ্রকাশ রাও, গুরু দেশপাণ্ডে, ফিল্ম প্রযোজক দিবাকর বাবু ও রাজেশ্বরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ফিল্মে কাজ দেওয়ার নাম করে তারা উঠতি নায়িকাদের সহবাসের জন্য চাপ দিত৷ সিসিটিভি ক্যামেরায় সে চিত্র ধরা পরার পরই তাদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷
Advertisement