ধর্ম

হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শের ফজিলত

হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনি পবিত্র কাবা ঘরের দুটি প্রান্ত বা কোন। পবিত্র কাবা ঘর তাওয়াফের সময় এ কোন দুটি স্পর্শ করলে অনেক ছাওয়াব লাভ হয়। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা সুস্পষ্ট করে বলেছেন-

Advertisement

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইদ ইবনে উমাইর থেকে বর্ণিত তিনি তাঁর বাবাকে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেন। আচ্ছা আপনাকে হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনি ছাড়া অন্য কিছু স্পর্শ করতে দেখি না কেন?

ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছি- ‘নিঃসন্দেহে এ দু’টির স্পর্শ পাপকে ঝড়িয়ে দেয়।’

আরো বলতে শুনিছে- যে ব্যক্তি গণনা করে কাবা ঘরের এক সপ্তাহ তাওয়াফ করবে এবং দুই রাকাআত নামাজ আদায় করবে সে একটি গোলাম/দাস মুক্ত করার ছাওয়াব পাবে’

Advertisement

তিনি বলেন আরো বলতে শুনেছি- প্রতিটি ধাপের জন্য ‘১০টি করে নেকি লেখা হবে, ১০টি করে পাপ মিটিয়ে দেয়া হবে এবং ১০টি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি)

এছাড়াও শুধুমাত্র কাবা শরিফের তাওয়াফকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন ৬০টি রহমত বর্ষণ করেন। এটা আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগ্রহ।

বিশেষ করেযারা ভিড়ের কারনে তাওয়াফকালে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন বা স্পর্শ করতে পারে না এবং রোকনে ইয়ামেনিও স্পর্শ করতে পারে না। তারা দূর থেকেই হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনির দিকে অবশ্যই ইশারা করবে।

আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত আমল সম্পাদনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ রহমত, ফজিলত ও মর্যাদা দান করবেন।

Advertisement

এমএমএস/জেআইএম