ইজতিবা এবং রমল পুরুষদের জন্য করণীয় সুন্নাত কাজ। যা ফরজ তাওয়াফকারীদের জন্য প্রযোজ্য। হজ ও ওমরা পালনকারীরা হজের দীর্ঘ সফরে যে ইবাদতটি সবচেয়ে বেশি করে থাকেন তাহলো কাবা শরিফের তাওয়াফ। ফরজ তাওয়াফে পুরুষদের জন্য ইজতিবা ও রমল করা সুন্নাত।
Advertisement
‘ইজতিবা ও রমল’ কি ও কেন? এগুলো করার পেছনে রহস্য কী? এ সম্পর্কিত কিছু কথা তুলে ধরা হলো-
ইজতিবাপুরুষ তাওয়াফকারীদের জন্য ইজতিবা তাওয়াফে সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত। মহিলাদের জন্য কেনো ইজতিবা নেই। আর ইজতিবা হলো ইহরামের পোশাক পরিধান করার পর গায়ের চাদরকে ডান বগলের নিচে দিয়ে চাদরের উভয় মাথাকে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে সামনে এবং পেছনে ফেলানো।
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এবং তাঁর সাহাবাগণ ইজতিবা করেছেন এবং তিন চক্কর রমল করেছেন।
Advertisement
রমলপুরুষ তাওয়াফকারীদের জন্য রমল করা সুন্নাতের অন্তর্ভূক্ত। আর রমল হলো (তাওয়াফে কুদুম) তাওয়াফের সময় প্রথম তিন চক্করে মুজাহিদের মতো বীরদর্পে দুই কাঁধ ও শরীর দুলিয়ে ঘন ঘন পায়ে দ্রুত চলা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন প্রথম তাওয়াফ করতেন তখন প্রথম তিন চক্করে দ্রুত চলতেন। আর বাকি চার চক্করে সাধারণভাবে চলতেন। (বুখারি ও মুসলিম)
রমল করার রহস্যপ্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনা (ইয়াসরিব) থেকে বাইতুল্লায় আগমন করেন, তখন মক্কার মুশরিকরা বলাবলি করতে লাগলো যে, মদিনার (ইয়াসরিবের) আবহাওয়া মুসলমানদেরকে দুর্বল ও রুগ্ন করে ফেলেছে।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরকে মুশরিকদের এই অপবাদকে মিথ্যা প্রমাণিত করার জন্য কাবা শরিফের তাওয়াফে ‘রমল’ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
Advertisement
তারপর থেকেই তাওয়াফে রমল করার বিধান চালু রয়েছে। যা এখনও বিদ্যমান। তবে নফল তাওয়াফে রমল এবং ইজতিবা নেই।মনে রাখতে হবে ইজতিবা এবং শুধুমাত্র সাত চক্কর তাওয়াফে সুন্নাত। এর আগে বা পরে সুন্নাত নয়। রমলও সাত চক্কর তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে আদায় করতে হবে।
পরিশেষে...আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব পুরুষদেরকে কাবা শরিফের ফরজ তাওয়াফে ইজতিবা ও রমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম