রোববার বিমানের চারটি হজ ফ্লাইটের মধ্যে ৩টিই যথা সময় জেদ্দার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটের ডেডিকেটেড ফ্লাইটটি রি-সিডিইলিং করে ৯ আগস্ট ভোর ৫টায় করা হয়েছে।
Advertisement
সরেজমিন হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের যেকোনো দিনের তুলনায় রোববার হজযাত্রীদের মধ্যে ছিল অনেকটা খুশি খুশি ভাব।হজযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হজক্যাম্পে অবস্থান করা বেশির ভাগ হজযাত্রী সকালে ক্যাম্পে আসলে বিকেলের মধ্যেই ফ্লাইট পাচ্ছে। আর রিসিডিউলিং করা ফ্লাইটগুলোর হজযাত্রীদের আগেভাগে জানিয়ে দেয়ায় তাদের হজক্যাম্পে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
দিনাজপুর থেকে ৩০ জনের একটি দল নিয়ে হজযাত্রী আকরাম হোসেন হজ ক্যাম্পে এসেছেন রোববার ভোরে। কোনো কষ্ট হচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আকরাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আল্লাহ তার মেহমানদের কষ্ট লাঘব করবেন। আল্লার দরবারে হাজিরা দিতে যাচ্ছি। দুঃখ কষ্ট সব কিছুকে জয় করে আমরা হজ সম্পূর্ণ করব ইনশাল্লাহ।
এদিকে বিমানের ১৪টি এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের চারটি হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হজযাত্রী আটকা পড়েছে। এদের পরিবহন করতে বিমান অতিরিক্ত ১২টি স্লটের জন্য জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। তবে এখনো অনুমতি পাওয়া যায়নি।
Advertisement
এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, আগামী ৪ দিনের মধ্যে স্লট বরাদ্দ না পেলে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই বিমানের হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ই-ভিসা জটিলতা আর যাত্রী সংকটের কারণে সবমিলে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট পৌঁছে ২৪ জুলাই। শেষ ফ্লাইট যাবে ২৮ আগস্ট। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ৬ সেপ্টেম্বর ও শেষ ফিরতি ফ্লাইট ৫ অক্টোবর। এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে ১ সেপ্টেম্বর।
আরএম/এমআরএম/এএইচ
Advertisement