প্রতিবারই প্রিমিয়ার লিগের শেষে বেশ কয়েকজন বোলারকে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। এবারও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ রয়েছে ৪জন বোলারের নামে। তারা হচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে ক্যাম্পে থাকা সঞ্জিত সাহা দ্বীপ, নুরুজ্জামান মাসুম, আসিফ আহমেদ রাতুল এবং শফিউল হায়াত। তবে সঞ্জিতের অ্যাকশন ঠিক করার দায়িত্ব ইতিমধ্যেই নিয়েছেন জাতীয় দলের কোচরা। বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ম্যানেজার নাসির আহমেদ।
Advertisement
সঞ্জিতের বিষেয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘জাতীয় দলের কোচদের সাথে আমি কথা বলেছি। ওরা আমাকে বলেছে, ওর বোলিংয়ে তেমন সন্দেহজনক কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে থাকার সময়ও একবার অভিযুক্ত হয়েছিল। তখন সে আইসিসির পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেই এসেছিল।’
সঞ্জিতকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নাসির আহমেহদ জানান, সঞ্জিতের সব বল নয়, নির্দিষ্ট একটি বল নিয়েই একটু সমস্যা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সঞ্জিতের সব বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ নেই। ও সোজা ধরনের একটা বল করে থাকে। সেটা করার সময়ই সম্ভবত কনুই ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বাঁকা হয়।’
বাকি তিন বোলারকে নিয়ে তাদের কি পরিকল্পনা? জানতে চাইলে নাসির আহমেদ বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুতই তাদেরকে এনে তাদের বোলিং ভিডিও করবো। এরপর অ্যানালাইসিস করে দেখবো তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো ঠিক কি না।’
Advertisement
কাজ শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে কেন জানতে চাইলে? তিনি বলেন, ‘আমরা যে সব সরঞ্জাম দিয়ে কাজ করি তা খুবই সেনসেটিভ। একটু পানি পড়লেই নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে বৃষ্টি হচ্ছে বলেই আমরা কাজ শুরু করতে পারছি না। আশা করছি পরের সপ্তাহেই কাজ শুরু করতে পারবো।’
জাগো নিউজের এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নাসির আরও বলেন, ‘গড়ে ৯০ ভাগ স্পিনারদের বিরুদ্ধেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ ফাস্ট ডিভিশন লিগে ১২ জন বোলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। যার মধ্যে মাত্র দুজন ছিলো পেসার।’
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement