শ্রাবণের কালো মেঘ মিরপুরের আকাশজুড়ে। একটু পরই শুরু হল টুপটাপ বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি দেখেই মাঠ থেকে উঠে এলেন অনুশীলনরত অনুর্দ্ধ-১৯ দলের কোচ এবং খেলোয়াড়রা। একদল চলে গেলেন ইনডোরে আরও কিছু সময় ব্যাটিং-বোলিং ঝালাই করে নিতে। অপর দল ঢুকলেন গিয়ে বিসবি জিমনেশিয়ামে। জিমে যারা ঢুকলেন তাদের মাঝে সহজেই নজরে আসে ৫ ফিট ১১ ইঞ্চির এক তরুণকে। মুখে যেন হাসি তার লেগেই আছে।
Advertisement
বলছিলাম অনুর্দ্ধ-১৯ দলের ক্যাম্পে থাকা পেসার হাসান মাহমুদের কথা। গড়ে ১২৫-২৬ কিলোমিটার গতিতে বল করে থাকেন তিনি। শেষ পেসার হান্টে গতি উঠেছিল ১২৭ কিলোমিটার। জিমনেশিয়ামে ঢোকার আগে এই পেসার তার খুটিনাটি বিষয় নিয়ে কথা বলেন জাগো নিউজের সাথে।
ভবিষ্যত লক্ষ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে বেশ দৃঢ় লক্ষীপুর থেকে উঠে আসা এই পেসার। আগামী দিনের লক্ষ্য নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য ভবিষ্যতে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়া। ব্যাক্তিগত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আরও অনুশীলন করছি। ব্যক্তিগত স্কিলের উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’
যেভাবে কাজ করছেন, তাতে দেখা গেলো উদীয়মান এই পেসার খুব বেশি সন্তুষ্ট নন। তার আরও অনুশীলন প্রয়োজন। আরও উন্নতি এবং পরিশ্রম প্রয়োজন। হাসান বলেন, ‘আমাকে বোলিং নিয়ে আরও বেশ কিছু কাজ করতে হবে। কোচদের নির্দেশনাগুলো শুনতে হবে। আর নিজেও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। স্ট্রেন্থের কাজও নিজেকে করতে হবে।’
Advertisement
তবে তিনি এটাও মেনে নিলেন জাতীয় দলে খেলাটা খুব সহজ হবে না। হাসান বলেন, ‘জাতীয় দলে খেলাটা আমার জন্য কঠিন হবে। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমার পক্ষ থেকে সতটা সম্ভব, সর্বোচ্চটা দিয়ে।’
আগামী বছর জানুয়ারিতেই নিউজিল্যান্ডে বসছে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। সে লক্ষ্যেই নিজেদের প্রস্তুত করছেন অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। সবচেয়ে বড় কথা, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে নিউজিল্যান্ডে। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়াই এখন যুবাদের মূল কাজ।
নিউজিল্যান্ডে কিভাবে পেসাররা নিজেদের মানিয়ে নিবে এবং কাজ করবে সেটাই মূলতঃ শেখাচ্ছেন কোচ রাইট, এমনটাই জানালেন হাসান। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ক্যাম্পটির উদ্দেশ্য মূলতঃ নিউজিল্যান্ডে পেসারদের কিভাবে কাজে লাগানো যায় সেটাই। কারণ নিউজিল্যান্ড পেসারদের জন্য স্বর্গ বলা চলে। তাই আমদের অনুর্দ্ধ-১৯ দলের পেসারদের শেখানো হচ্ছে- কিভাবে আমরা সেখানে নিজেদেরকে মেলে ধরবো। আর আমিও তাই পেস বোলিং নিয়েই কাজ করছি।’
ক্যাম্পে থাকলে নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরা যায় বলেই মনে করেন এই তরুন। ক্যাম্প থেকে কি উন্নতি হচ্ছে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পের আগে যখন বাসায় ছিলাম, তখন কাজ করা অনেক কম হয়। এখানে আসার পর কোচদের কাছাকাছি থাকি। তারা যেভাবে বলে, সেভাবে কাজ করি। ফলে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হচ্ছে। দেখা যাবে ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে।’
Advertisement
উল্লেখ্য, বিসিবি হাই পারফরমেন্স ইউনিটের (এইচপি) বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন এই পেসার। ই ম্যাচে পাঁচ ওভার বল করে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি। এরপর ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি পরের দুই ম্যাচে।
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম