জাতীয়

আলহামদুলিল্লাহ্, এভরিথিং ইজ গোয়িং ভেরি ওয়েল

চলতি বছর থেকে শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক (ই) হজ ভিসা পদ্ধতিতে ইতোমধ্যে এক লাখ সাত হাজার ২৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর ভিসার আবেদন সাফল্যের সঙ্গে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল।

Advertisement

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে জাগো নিউজ ও একটি বার্তা সংস্থার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে হজ পরিস্থিতির সামগ্রিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার সময় তিনি এ তথ্য জানান।

আবদুল জলিল বলেন, কোনো প্রকার ত্রুটি থাকলে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভিসার আবেদন গৃহীত হবে না। সে বিবেচনায় এক লাখ সাত হাজার ২৯ জনের ভিসা হয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিভিন্ন হজ এজেন্সি পাসপোর্ট জমা দিলেই ভিসা হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে মক্কা থেকে ৭৮ হাজার ২৬০ জনের ভিসার কাগজ বাংলাদেশস্থ সৌদি আরব দূতাবাসে পৌঁছেছে।

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই তিনি গতকাল শনিবার রাত ২টায় সৌদি আরবের মক্কা কনসুল জেনারেলের পাঠানো এক ই-মেইলের শেষ লাইন ‘আলহামদুলিল্লাহ্, এভরিথিং ইজ গোয়িং ভেরি ওয়েল’ উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, পবিত্র হজ পালনে রোববার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার ১৫৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সৌদি দূতাবাসে বাংলাদেশের ৬৯ হাজার ১৭৩ জন হজযাত্রীর ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৬৬ হাজার ৩৮৫ জনের ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরত এসেছে।

বেশকিছু ফ্লাইট বাতিলের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা যেতে পারবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ এবার হজের জন্য যারা নিয়ত করেছেন তারা সবাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যেতে পারবেন।’

তিনি আরও বলেন, এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। রোববার পর্যন্ত ৪১ হাজার ১৫৪ জন সৌদি আরব পৌঁছেছেন। বাকি ৮৬ হাজার ৪৪ জন। আশা করি, তারাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদি আরব পৌঁছবেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ হজ ফ্লাইট সৌদি আরব যাবে।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে প্রতিদিন কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার হজযাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। ফলে আগামী ২২ দিনে গড়ে চার হাজার করে যাত্রী গেলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি উভয় এয়ারলাইন্সের অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে। সচিব বলেন, সঠিক তথ্য না জেনে বা না বুঝে হজ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে হজ গমনেচ্ছুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়, যা মোটেও কাম্য নয়।

তিনি গণমাধ্যমকে আরও সতর্ক থেকে সঠিক তথ্য জেনে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ জানান।

এমইউ/আরএস/এমএআর/এমএস