জাতীয় দল ক্যাম্প করতে গতকালই ক্রিকেটাররা চলে গেছেন চট্টগ্রামে। ছিল না অনুর্দ্ধ-১৯ দলেরও ক্যাম্প। তাই মিরপুরে বিসিবি কার্যালয় এবং স্টেডিয়ামে সুনসান নীরবতা, যেন হয়ে পড়েছিল কোলাহলহীন। অথচ এই কোলাহলহীন প্রান্তরে কে যেন একটু প্রাণ ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। একাডেমি মাঠে একমনে ঘাম ঝরাচ্ছিলেন বামহাতি স্লো অর্থোডক্স আব্দুর রাজ্জাক রাজ।
Advertisement
মাঠে ঘাম ঝরানোর পর ঢুকে যান বিসিবির জিমনেশিয়ামে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ঘণ্টাখানেক পর। এরপর কথা বলেন উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে।
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। ঘরোয়া লিগ এবং টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো করলেও জাতীয় দলে বরাবরই থাকছেন উপেক্ষিত। সিরিজ আসে, সিরিজ যায়- অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে রাজ্জাক এখন ধরেই নিয়েছেন, জাতীয় দলের জার্সি আর তার ভাগ্যে নেই হয়তো। এ কারণেই জাতীয় দল থেকে অনেক দিন বাইরে থাকা নিয়ে আক্ষেপ নেই বলেই জানালেন সাংবাদিকদের।
জাতীয় দল থেকে বাইরে থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতিটা জাতীয় দলে খেলার মতই থাকে। সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়। এর মানে এই নয় যে, জাতীয় দলে খেলতে না পারলে আমার মন খারাপ করতে হবে। এমন করলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে অনেক।’
Advertisement
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করার জন্যই নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকটটা এখনও আমরা খেলছি। সেখানে খেলাটা এখন যথেষ্ট প্রতিযোগিতামূলক হয়। সেজন্যই আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হয়। আপনি এখানে প্রস্তুত না থাকলে, দলে থাকতে পারবেন না। কারণ বিপিএলে প্রচুর আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় আসে। দলগুলো সেখান থেকেই খেলোয়াড় নিয়ে আপনার স্থান পূরণ করবে। কাজেই এই পরিস্থিতি এড়াতে আপনাকে পরিশ্রম করতেই হবে।’
কেউ নেই একা একা অনুশীলন করছেন! কেমন লাগছে? রাজ্জাক জানালেন, ‘বাসায় বসে শুধু রিহ্যাব-টিহ্যাব করলে আমার মাঠের কাজটা পুরোপুরিভাবে শেষ হবে না। এর জন্যই মাঠে আসা। তবে একা একা অনুশীলন করা, একটু গুছিয়ে করা কিছুটা কঠিন। তারপরও যেহেতু এটা আমার পেশা, তাই কোন অভিযোগ নেই আমার। '
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement