ফেডারেশন কাপের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সাংগঠনিক সংকট দেখা দিলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তাদের ফুটবল দলে। কিছুদিন দলের অনুশীলন হয়নি, খেলোয়াড়দের খাওয়া-দাওয়াও জোটেনি ঠিকমত। নতুন কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সারের মাথায় হাত পড়েছিল দলের অবস্থা দেখে। ছন্নছাড়া অবস্থায় প্রিমিয়ার লিগ খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় শেখ রাসেলের কাছে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই বদলে যাওয়া এক দল লাল জার্সিধারীরা। শুক্রবার রহমতগঞ্জকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তারা উড়ালো বিজয়ের পতাকা।
Advertisement
আগের ম্যাচের নিস্প্রাণ দলটি পরের ম্যাচেই বদলে যাওয়ার রহস্যটা কী? হতে পারে তাদের অভিভাবক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের উপস্থিতি। মন্ত্রী গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন-খবরটি মাঠে পৌঁছতেই হয়তো উজ্জীবিত হয়ে উঠেন খেলোয়াড়রা। পিছিয়ে পড়া দলটি ঘরে ফেরে প্রথম জয় নিয়ে।
মুক্তিযোদ্ধার ঘুরে দাঁড়ানো ম্যাচের নায়ক মিশরীয় ফরোয়ার্ড জাকি সারহান। তার জোড়া আর স্থানীয় আমজাদ আলীর গোলে মুক্তিযোদ্ধা হারিয়ে দেয় আগের ম্যাচে আরামবাগের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া রহমতগঞ্জকে। ১৫ মিনিটে প্রথম আক্রমণেই রহমতগঞ্জকে এগিয়ে দেন গিনির ইসমাইল বাঙ্গুরা। বাম দিক থেকে সাদ্দাম হোসেনের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন বাঙ্গুরা।
২৩ মিনিটে সমতা আনেন মুক্তিযোদ্ধার আমজাদ আলী। একটি আক্রমণ রুখতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাজিব। বল পেয়ে কাছের পোস্টে ঠেলে দেন আমজাদ। সমতা আনার পর অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধা। একের পর এক আক্রমণ করে বিরতির আগেই এগিয়ে যায় ৩-১। ২৭ মিনিটে ও প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোল করেন জাকি সারহান।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধে কামাল বাবুর দল একটি গোল করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি। পুরনো ঢাকার দলটির দ্বিতীয় গোলও করেন গিনির ইসমাইল বাঙ্গুরা ৬৩ মিনিটে। দুই ম্যাচ শেষে দুই দলের সংগ্রই ৩ পয়েন্ট করে।
আরআই/এমআর/এমএস