শুক্রবার ভোর ৪টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আব্দুল আউয়ালের। তবে ভিসা না পাওয়ায় আপাতত রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পের ৪ তলায় ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে তাকে। থাকা-খাওয়ার কষ্ট হচ্ছে। কবে যাবেন তাও জানেন না। তবুও অভিযোগ নেই আউয়ালের। বললেন, ‘কোনো সমস্যা নাই, হজে যেতে পারলেই হয়।’
Advertisement
আব্দুল আউয়ালের মতো ভিসা না পাওয়ায় প্রায় ৬ হাজার হজযাত্রী নির্ধারিত সময়ে সৌদি যেতে পারেননি। এদের মধ্যে যারা ঢাকার আশপাশে থাকেন তারা বাড়ি ফিরে গেলেও দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগতদের হজক্যাম্পে কষ্ট করেই দিন কাটাতে হচ্ছে। তবে আল্লাহ্র মেহমান হওয়ায় কোনো কিছুতেই বিরক্তি নেই তাদের, নেই কোনো অভিযোগও। শুধু আছে বিলম্বে হজে যাওয়ার চাপা আক্ষেপ।
সকালে হজক্যাম্পে অবস্থানরত আব্দুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা থেকে আমরা ৩২ জন রাতে ঢাকায় আসি। ভোর ৪টায় ফ্লাইট ছিল। রাত ৩টার দিকে মোয়াল্লেম এসে অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলো। সব না বুঝলেও আমরা যে নির্ধারিত সময়ে যেতে পারছি না সেটা ঠিকই বুঝতে পেরেছি। ৪ তলায় সবাই একসঙ্গে থাকছি, আপাতত তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তবে আশা করেছিলাম বলে একটু কষ্ট লাগছে।
ভোলার ফয়জুল ইসলাম জানান, ২ দিন ধরে হজ ক্যাম্পের ২য় তলায় থাকছি। সবাই ভালোভাবে দেখাশোনা করছে। এখন শুধু মক্কা-মদীনায় যাওয়ার অপেক্ষা।
Advertisement
নারায়ণগঞ্জের জুবায়ের হোসেন ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে হজের রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন দেড় বছর আগে। হজক্যাম্পে তিনি বলেন, আমাদের কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই, সবকিছু ঠিকঠাকই আছে। স্কাউটের ছেলেরা আমাদের অনেক খেয়াল রাখছেন। সকাল ৬টায় ফ্লাইট ছিল, যাওয়া হয়নি। কষ্ট শুধু এখানেই। তবে আল্লাহ্ যেদিন ভাগ্যে রেখেছে, সেদিনই যাওয়া হবে বলে আশা রাখছি।
এ বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাবেন। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৭ হাজার ৯৫৬ জন হজযাত্রী ভিসা পেয়েছেন। ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৬২৮ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এআর/এমএমজেড/জেএইচ/এমএস