ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যেমন একবারের জন্য সফর বাতিলের কথা বলেনি, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও কখনই ভাবেনি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল আসবে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজ হবে না।
Advertisement
বরং দুই বোর্ড ভেতওে ভেতরে সিরিজ হবে ভেবেই যোগাযোগ রক্ষা করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও সে কারণেই যথাসময়ে প্রস্তুতি শুরু কওে দিয়েছিল।
নিজ দেশের মাটিতে অজি বধের পরিকল্পনা এঁটেই প্রস্তুতির কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তারই আলোকে প্রথমে তিন সপ্তাহর ফিটনেস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর টেস্ট সিরিজ শুরুর ঠিক এক মাস আগে- গত ২৬ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেট প্র্যাকটিস বা ব্যাট-বলের অনুশীলন।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সে চিন্তা থেকেই প্রস্তুতি পর্বের একটা অংশ চট্টগ্রামের ওই মাঠে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে আলোকে আগামীকাল থেকে পরের এক সপ্তাহ জাতীয় দলের অনুশীলন হবে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
Advertisement
তারও আগে সিরিজ নিয়ে সব অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। অস্ট্রেলিয়ান বোর্ড আর ক্রিকেটারদের মাঝে বেতন-ভাতা ও আনুসঙ্গিক অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে যে মত পার্থক্য ও দুরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা দুর হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তিও হয়ে গেছে। এখন আর কোন সমস্যা নেই। ধারনা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া সিরিজ যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
পুরনো খবর নতুন করে বলা, আগামী ১৮ আগস্ট ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে আগামী ২৭ আগস্ট মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে মুশফিক বাহিনীর মুখোমুখি হবে স্মিথের দল।
আর ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সে কথা মাথায় রেখে জাতীয় দলের আগামী এক সপ্তাহের অনুশীলন হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
আজ বিকেলের ফ্লাইটে বন্দর নগরীতে চলে যাবে জাতীয় দলের বহর। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম যাবে জাতীয় দলের বহর। সেখানে এক সপ্তাহ অনুশীলন করবে। যার মধ্যে একটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। তারপর ১২ আগস্ট আবার রাজধানীতে ফিরে আসবে ক্রিকেটাররা।’
Advertisement
আজ বিকেলে বন্দর নগরীতে পৌঁছানোর পর আগামীকাল (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই অনুশীলন। ৭ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন দিন প্র্যাকটিস। ওই তিনদিন সকাল-বিকাল দুই বেলা অনুশীলন। ৮ আগস্ট বিশ্রাম নিয়ে ৯ থেকে ১১ আগস্ট তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। ওই ওয়ার্মআপ ম্যাচ শেষে ১২ আগস্ট জাতীয় দল ফিরবে ঢাকায়।
রাজধানী ফেরার পরদিন বিশ্রাম। ১৪, ১৫ ও ১৬- এই তিনদিন আবার টানা অনুশীলন এবং এরপর একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। সেটা হবে ১৭-১৮ আগস্ট। ওই ম্যাচ শেষেই প্রথম টেস্ট স্কোয়াড চূড়ান্ত হবে।
প্রধান নির্বাচকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৭ ও ১৮ আগষ্ট দুদিনের প্র্যাকটিস ম্যাচ শেষে ১৮ আগষ্ট যেদিন অস্ট্রেলিয়া ঢাকায় পা রাখবে সেদিনই প্রথম টেস্টেও জন্য ১৪ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
চট্টগ্রামের অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন যারা
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহীম, সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক, নাসির হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, রুবেল হোসেন, সানজামুল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, শুভাশিস রায়, লিটন কুমার দাস, তানভির হায়দার, নাজমুল ইসলাম শান্ত, নাঈম হাসান, সঞ্জিত সাহা দ্বীপ, সাকলায়েন সজীব।
এআরবি/আইএইচএস/পিআর