জাতীয়

হজ সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা

শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। তাই প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ হজ পালন করতে যান সৌদি আরবে। হজকে কেন্দ্র করে প্রযোজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটাও করেন হজযাত্রীরা। আর হজের ভরা মৌসুমে বিকিকিনি ভালো হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

রাজধানীর আশকোনায় অবস্থিত হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

জানা গেছে, প্রতিবছরই পবিত্র হজ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরব যাওয়ার আগে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা জড়ো হন রাজধানীর এ হজ ক্যাম্পে। এখানে অবস্থান করে তারা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম, বিমানের টিকিট, বোর্ডিং কার্ড গ্রহণ এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকেন।

হজ ক্যাম্পের বাইরের বিপরীত পাশে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স। ভবনটিতে প্রায় ২০টির মত দোকানে হজ সামগ্রী বিক্রি করা হয়। হজযাত্রীদের এহরামের কাপড়, বেল্ট, ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্য পাওয়া যায় এখানে।

Advertisement

একদিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র একসঙ্গে পেয়ে কিনছেন হজযাত্রীরা। অন্যদিকে হজ মৌসুমে ভালো বেচাকেনা হওয়ায় খুশি বিক্রেতারা। তবে অন্যান্য জায়গার তুলনায় দাম বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় হজ সামগ্রী নিয়ে পসরা বসিয়েছেন মো. রাজিব। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এহরামের কাপড়, তাওয়াল, বেল্ট সেট, হাওয়ার বালিশসহ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব পণ্যই এখানে পাওয়া যায়। এহরামের কাপড় বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকায়। বেল্ট ১০০ থেকে ২০০ টাকা। কোমরে বাধার ব্যাগ ও পাসপোর্ট ব্যাগ ১৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এছাড়াও হজের বড় ব্যাগের দাম ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা।জায়নামাজ, টুপি, তজবি মান ভেদে নানা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা রাজিব বলেন, আমরা সারা বছরই এখানে ব্যবসা করি। হজের সময় বেচা বিক্রি বেড়ে যায়। এবার বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। তাই ব্যবসাও ভালো। আর দাম রাখার ক্রেতাদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সব জিনিসপত্রেরই দাম বেশি। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে তাই বিক্রিও একটু বেশি দামে করতে হয়।

মাদারীপুর থেকে আসা হজযাত্রী আবেদ আলী জানান, হঠাৎ হজ ফ্লাইট হওয়ায় অনেক কিছু কিনতে পারিনি। এহরামের কাপড়সহ টুকিটাকি বেশ কিছু জিনিস কিনেছি। এখানে হজের প্রয়োজনীয় সব পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে। তবে সুযোগ বুঝে দাম একটু বেশি নিচ্ছে।

Advertisement

এসআই/এআরএস/পিআর