জাতীয়

ভুয়া ভোটার এখন কাল্পনিক বিষয় : নির্বাচন কমিশনার

ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোটার তালিকা করার ফলে ভুয়া ভোটার এখন কাল্পনিক বিষয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে সকালে প্রার্থী বাছাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও ফলাফল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, ভুয়া ভোটার এখন কাল্পনিক বিষয়। ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র ও ফিঙ্গার প্রিন্টের মধ্য দিয়ে কমিশন এ বিষয়টি সুদৃঢ় করেছে। তাই একই ব্যক্তির দুই জায়গায় ভোটার হওয়ার এখন আর কোনো সুযোগ নেই। এরপরও কমিশন বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি প্রার্থী বাছাই পদ্ধতি ও ফলাফল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পুরোপুরি রপ্ত করতে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্যান্ডিডেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (কেএমএস) ও রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (আরএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ হবে। গত উপজেলা নির্বাচনে এ দুটি সফটওয়্যারের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে। কেএমএস ও আরএমএস -এ দুটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল তা মূলত পরীক্ষামূলক। এ সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শেষে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেলে আগামী নির্বাচনে কেএমএস ও আরএমএসের সফটওয়্যারকে পদ্ধতিগতভাবে পুরোদমে কাজে লাগাতে সক্ষম হবো। আর এটি কার্যকর হলে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন, দাখিল, প্রত্যাহার ও হলফনামাসহ যে কোনো তথ্য আপডেট করার সঙ্গে সঙ্গে তা কমিশনে বসেই দেখা যাবে। ভোট গণনার ফলাফল পাওয়া যাবে ঘোষণার পরপরই। তখন ফলাফল প্রকাশ নিয়ে কালক্ষেপণ করার কোনো সুযোগ থাকবে না।ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ১৯৮২ সাল থেকে ইভিএম ব্যবহার করে আসছে। আমরা সম্প্রতি ব্যবহার করছি। গত নির্বাচনে কয়েক জায়গায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে ত্রæটি দেখা দেওয়ায় আপাতত এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্রæটি সারিয়ে আগামী নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।নির্বাচন কমিশনার বলেন, উন্নত ও অত্যাধুনিক টেকনোলজি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে কমিশনকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলছে। এজন্য নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দেশ ও বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়তা করবেন।নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী সচিব জেসমিন তুলি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাশ চন্দ্র সরকার ও জেলা নির্বাচন কর্মকতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

Advertisement