বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও পরে মা-মেয়েকে ন্যাড়া করে নির্যাতনের মামলায় ঘটনার মূল হোতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমা বেগমকে নতুন করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার তাদের আগের রিমান্ড শুনানির সময়সীমা শেষ হয়। এরপর বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করে নতুন করে রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
এদিকে, মা-মেয়েকে ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় জড়িত নাপিত জীবন তার দোষ স্বীকার করে বুধবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার ধর্ষণের মামলায় তুফান এবং তার দুই সহযোগীর তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। নির্যাতনের মামলায় তুফানের স্ত্রী আশা খাতুন ও শাশুড়ি রুমি বেগমসহ অন্য ছয়জনের দুই দিনের রিমান্ডও শেষ হয়।
Advertisement
বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, আসামিরা রিমান্ডে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য না দেয়ায় ফের তাদের সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে। বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে তাদের হাজির করা হবে। বর্তমানে বগুড়া গোয়েন্দা কার্যালয়ে রয়েছে আসামিরা।
গত ১৭ জুলাই ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে তুফান। ঘটনার ১০ দিন পর গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির নেতৃত্বে কয়েকজন ওই তরুণী এবং তার মায়ের ওপর নির্যাতন করে। পরে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় কাউন্সিলর রুমকির বাড়িতে তাদের মাথা ন্যাড়া করে বেধড়ক পেটানো হয়।
ওদিন রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই কিশোরী ও তার মাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শ্রমিক লীগ বগুড়া শহর শাখার সভাপতি (বরখাস্তকৃত) তুফান সরকারসহ মামলার ৯ আসামি এবং কাউন্সিলরের বাবা ও নাপিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Advertisement
বুধবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে তুলে তাদের আবারও রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করার কথা স্বীকার করেছেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি এমদাদ হোসেন।
লিমন বাসার/এএম/এমএস