জাতীয়

হজক্যাম্পের সামনে হাঁটুপানি

একটু বৃষ্টি হলেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে আশকোনায় হজক্যাম্পের সামনে জমে যায় হাঁটুপানি। বুধবার দুপুরে নামা শ্রাবণের বৃষ্টিতে জমা পানি বিকেল ৫টা পর্যন্তও ছিল। সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে যাওয়া যাত্রীরা এ ক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। দেখা গেছে, বুধবার দুপুরের দিকে হজক্যাম্পে এসে বিড়ম্বনায় পড়েন তারা। সব থেকে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েন হজযাত্রীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা। জমে থাকা পানিতে গাড়ি পার্কিং করতে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। হজক্যাম্পের সামনের রাস্তায় অবস্থিত এক দোকানের কর্মী মো. আনোয়ার বলেন, ‘আমি প্রায় পাঁচ বছর ধরে এখানে আছি। হজের সময় এখানে বিক্রি সবসময় বেশি হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পের সামনের রাস্তায় পানি জমে যায়। এতে চলাচলে সমস্যা হয়। তবে বৃষ্টির সময় জমে যাওয়া পানি বেশিক্ষণ থাকে না। তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যায়।’ মো. আবদুল গফুর নামের এক হজযাত্রী বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। গ্রামের বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে ২টার দিকে হজক্যাম্পের সামনে এসে পৌঁছি। এখন তো দেখতেই পাচ্ছেন কী অবস্থা। ক্যাম্পের ভেতরে প্রবেশের আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। কোথাও দঁড়াব সে অবস্থা ছিল না। ফলে বাধ্য হয়েই ভিজতে হয়েছে।

Advertisement

ওই হজযাত্রী বলেন, বাবা আমার জন্য দোয়া করবেন। যত কষ্টই হোক ভালোভাবে যাতে হজ সম্পন্ন করতে পারি। হজ কবুল না হলে তো সবই বরবাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ যে আমারসহ বাংলাদেশ থেকে যারা যাচ্ছেন সবার হজ কবুল করেন। ঢাকার মিরপুর থেকে আসা হজযাত্রী বাবাকে গাড়িতে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন মো. ইসমাইল হোসেন। গাড়ি হজক্যাম্পের সামনের পার্কিং স্থানে নিতেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি থামলেও পার্কিংয়ের স্থলে হাঁটুপানি জমে যায়। ফলে একপর্যায়ে পোশাক ভিজিয়েই বাবাকে নিয়ে হজক্যাম্পে প্রবেশ করেন ইসমাইল হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গাড়ি রাখার এই পার্কিং স্থানটি উঁচু করা উচিত। ভেতরে তো গাড়ি নিয়ে যেতে দেয় না। পার্কিংয়ে গাড়ি রেখেই হজক্যাম্পে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু পার্কিংয়ের স্থান নিচু হওয়ার কারণে দেখছেন তো কেমন পানি জমে গেছে। এই পানির ভেতর দিয়ে তো আর পোশাক না ভিজিয়ে যাওয়া-আসা সম্ভব নয়। এমএএস/জেডএ/এমএস