হজযাত্রীদের সেবার মান উন্নয়নে জেদ্দা বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএআইএ) অনন্য ভূমিকা পালন করছে। হজ ও ওমরা পালনেচ্ছু যাত্রীদের বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে।
Advertisement
তাছাড়া বিমানবন্দরে স্থাপিত হজ লাউঞ্জ থেকে বাইরে না গিয়ে সেখান থেকেই মক্কা অথবা মদিনায় যাওয়ার জন্য রয়েছে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর পাসপোর্ট, কাস্টমস এবং টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম হজযাত্রীদের জন্য স্থাপিত বিশেষ অফিসেই তা সম্পন্ন হয়। খবর সৌদি গেজেট।
বিমানবন্দদের (কেএআইএ) পরিচালক তুর্কী বিন মালাউই আল তায়েব জানান, ‘সৌদি আরবের ১৫ হাজারেরও বেশি পুরুষ এবং নারী কর্মী হজযাত্রীদের সেবায় এবং তাদের বিমানবন্দরে কার্যক্রমে সহযোগিতায় কাজ করছেন।’
Advertisement
বর্তমানে প্রতিদিন হজের জন্য ৩৫ হজযাত্রী বিমানবন্দরে আগমন করেন। জিলহজ মাসে এ সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি।
এ বছর বিমানে হজযাত্রী পরিবহনের কাজ শুরু হয়েছে আরবি ৫ জিলকদ তথা ২৪ জুলাই থেকে। যা আগামী ৪ জিলহজ মোতাবেক ২৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
শুধুমাত্র গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত (১ দিনে) ২৪৫টি বিমানের মাধ্যমে ৪৩ হাজার হজ যাত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাদশা আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায় প্রবেশ করেছে। এ সব হজযাত্রীদের মধ্যে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও মিশর নাগরিকই বেশি বলে জানান আল তায়েব।
হজযাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে নিরাপদে এবং দ্রুত সময়ে দুই পবিত্র শহর মক্কা এবং মদিনায় যেতে পারে সে জন্য বিমানবন্দরসহ ২৭টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সেবা কার্যকম চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।
Advertisement
আল তায়েব আরো জানান, ‘জেদ্দা বাদশা আবদুল আজিজ আন্তর্জঅতিক বিমানবন্দর বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম লাউঞ্জ সমৃদ্ধ। যার আয়তন ৫০ হাজার বর্গ মিটার। আর হজযাত্রীদের মক্কা ও মদিনায় প্রবেশের প্রক্রিয়া সুন্দর এবং উন্নত।
উল্লেখ্য যে, জেদ্দা বাদশা আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একসঙ্গে ১ লাখ ৭৫ হাজার হজযাত্রীর সেবা প্রদান করতে পারে।
এমএমএস/পিআর