দেশজুড়ে

বিদ্যুৎ সংযোগের নামে টাকা ও চাল উত্তোলন

বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চকোশি ইউনিয়নের চরকালীগঞ্জ গ্রাম থেকে মোটা অংকের টাকা ও সংযোগ প্রতি ২ কেজি করে চাল উঠিয়েছে প্রভাবশালী একটি চক্র। এই গ্রামের ২৮০টি মিটার সংযোগ প্রদানের জন্য ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা উঠিয়েছে চক্রটি।

Advertisement

এ ব্যাপারে সম্প্রতি স্থানীয় এলাকাবাসী সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ২ বছর আগে টাকা ও চাল উত্তোলন করলেও আজ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি গ্রামবাসী।

প্রভাবশালী এই চক্রটি সংযোগ দেয়ার নামে নতুন করে আবারও টাকা দাবি করায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরকালীগঞ্জ গ্রামের সামসুল মন্ডলের ছেলে আরিফুল ইসলাম লিটন, আব্দুল আজিজের ছেলে গফুর মন্টু ও নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল গফুর আকন্দ ২৮০টি মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে গত দুই বছর পূর্বে চরকালীগঞ্জ গ্রামবাসীর নিকট থেকে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও সংযোগ প্রতি ২ কেজি করে চাউল উত্তোলন করে।

Advertisement

২০১৮ সালের মধ্যে সরকার বিনামূল্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতারক একটি চক্র গ্রামের সহজ সরল মানুষকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে উক্ত টাকা উত্তোলন করেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গ্রামবাসী অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।

চরকালীগঞ্জ গ্রামের শরীফুদ্দীন বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে এমপির নাম ব্যবহার করে গ্রামবাসীর নিকট থেকে টাকা ও চাল উত্তোলন করা হয়েছে। আমি গরীব মানুষ। কোনো রকম দিন চলে আমার। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বাড়ির ছাগল বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। এখন ২ বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুতের খবর নাই।

একই গ্রামের হারুন-অর-রশিদ বলেন, গ্রামে ২৮০ মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে মিটার প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ও ২ কেজি করে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। ৫ কিলোমিটার রাস্তায় ৮৯ পোলের মাধ্যমে চরকালীগঞ্জ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া কথা বলা হয়েছে। প্রতি কিলোমিটারে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আরিফুল ইসলাম লিটন, গফুর মন্টু ও আব্দুল গফুর আকন্দকে দেয়া হয়েছে। এখন তারা বাকি টকার জন্য গ্রামবাসীকে চাপ সৃষ্টি করছেন।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/আরআইপি

Advertisement