তথ্যপ্রযুক্তি

আত্মহত্যায় শেষ হচ্ছে যে অনলাইন গেম

অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’যেনো একটি মরণফাঁদ। এই গেমে মোটি ৫০টি ধাপ। যার সর্বশেষ ধাপ মৃত্যু। ধাপগুলোতে আছে হাত পা কাটার মতো বিপজ্জনক কাজ। শুধু কাজ করলেই হয় না। উপযুক্ত প্রমাণ হিসাবে ছবিও তুলতে হয়। তবেই চ্যালেঞ্জ পূর্ণ হয়েছে বলে ধরা হবে।

Advertisement

এই গেমের শেষ ধাপে বড় বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ মারার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অনুসরণ করতে গিয়েই ছাদের ওপর থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ভারতের এক কিশোর। ইউরোপ ও রাশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোতে এই অনলাইন গেম খেলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও ভারতে এই ঘটনা এই প্রথম বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতের কিশোরের নাম মনপ্রীত সিংহ। তিনি মুম্বাইয়ের একটি স্কুলে ক্লাস নাইনের ছাত্র ছিলেন। তার পরিবারের সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারেনি পুলিশ। তবে মনপ্রীতের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ।

মনপ্রীতের বন্ধুরা জানিয়েছে, ‘ব্লু হোয়েল’ নামে এক অনলাইন গেম নিয়ে চর্চা করত ওই কিশোর। এই গেমের চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে মনপ্রীত।

Advertisement

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’।

৫০ দিনে খেলতে হয় খেলাটি। অ্যাডমিনের নির্দেশে খেলোয়াড়কে নানা ঝুঁকিপূর্ণ চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। যার শেষটি হল আত্মহত্যা। প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা। তারপর খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আকঁতে হয় সেই তিমির ছবি। একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়। চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে। এই খেলায় প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন, এমনটা নয়। মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গেও লড়ছেন অনেকে।

এআরএস/পিআর

Advertisement