ধর্ম

বাইতুল্লাহ তাওয়াফে যে কাজ থেকে বিরত থাকবেন

পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করা হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন বাইতুল্লাহর প্রতি ১২০টি রহমত নাজিল করেন। তন্মধ্যে শুধুমাত্র তাওয়াফকারীদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ৬০টি রহমত।

Advertisement

এ তাওয়াফ হজ বা ওমরার জন্য হোক বা অন্য যে কোনো তাওয়াফই হোক; যদি তা হয় নির্ভূল এবং সঠিক তবে কোনো বান্দাই হাদিসে ঘোষিত রহমত থেকে বঞ্চিত হবে না।

বাইতুল্লাহ তাওয়াফ কালে যে সব কাজ মুবাহ, নিষেধ এবং মাকরূহ তা থেকে বিরত থাকা জরুরি। হজ, ওমরা ও জিয়ারতকারীদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

তাওয়াফে মুবাহ কাজ>> সালাম করা।>> হাঁচি দেয়ার সময় ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা।>> তাওয়াফকালীন সময়ে মাসআলা জানতে চাওয়া বা কাউকে জানানো।>> একান্ত প্রয়োজনে কথা বলা>> তাওয়াফকালীন সময়ে পানাহার করা।>> কবিতা আবৃত্তি করা।>> পবিত্র জুতা পরিধান করে তাওয়াফ করা।>> সক্ষম না হলে তাওয়াফে সাওয়ারীর সাহায্য গ্রহণ করা।>> নিঃশব্দে কুরআন তেলাওয়াত করা।

Advertisement

তাওয়াফে মাকরূহ কাজ>> অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা।>> ক্রয়-বিক্রয় বা চুক্তিসংক্রান্ত কথাবার্তা।>> হামদ-না’তবিহীন কবিতা আবৃত্তি করা। কেউ কেউ সাধারণ কবিতা আবৃত্তিকে মাকরূহ বলেছেন।>> অন্যের নামাজ বা তাওয়াফে বিঘ্ন ঘটায় এমন উচ্চ শব্দে দোয়া-জিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করা।>> নাপাক কাপড় পড়ে তাওয়াফ করা।>> বিনা ওজরে রমল ও ইযতিবা ছেড়ে দেয়া।>> হাজরে আসওয়াদ চুম্বন, স্পর্শ বা ইশারা না করা।>> তাওয়াফের চক্করগুলো মধ্যে অধিক সময় বিরতি দেয়া।>> নামাজের মাকরূহ সময় ছাড়া অন্য সময় দুই তাওয়াফের মধ্যে নামাজ আদায় না করে দুই তাওয়াফের নামাজ একত্রে আদায় করা।>> তাওয়াফের শুরুতে নিয়তের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ না বলে উভয় হাত উঠানো।>> বাইতুল্লায় খুতবা বা ফরজ নামাজের জামাআতের সময় তাওয়াফ করা।>> তাওয়াফকালে কোনো খাবার খাওয়া।>> পেশাব-পায়খানার বেগ থাকা অবস্থায় তাওয়াফ করা।>> ক্ষুধার্ত ও রাগ বা গোস্বা অবস্থায় তাওয়াফ করা।>> তাওয়াফের সময় নামাজের মতো হাত বেঁধে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফে নিষিদ্ধ কাজ>> গোসল ফরজ অবস্থায় বা হায়েজ ও নেফাস অবস্থায় তাওয়াফ করা।>> বিনা ওজরে কারো কাঁধে চড়ে তাওয়াফ করা।>> অজু ছাড়া তাওয়াফ করা নিষেধ।>> বিনা অজুহাতে হাঁটুতে ভর দিয়ে বা উল্টোভাবে তাওয়াফ করা।>> হাতিম’কে বাদ দিয়ে হাতিম ও কাবার মাঝখান দিয়ে তাওয়াফ করা।>> তাওয়াফের সময় কোনো এক চক্কর বা চক্করের একাংশ ত্যাগ করা।>> হাজরে আসওয়াদ ছাড়া অন্য কোনো স্থান থেকে তাওয়াফ শুরু করা।>> তাওয়াফের সময় কাবা শরিফের দিকে মুখ করা।>> তাওয়াফের কোনো ওয়াজিব তরক করা।

পরিশেষে…সঠিকভাবে তাওয়াফ সম্পন্ন করতে হলে তাওয়াফের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মুস্তাহাবগুলো পালনের পাশাপাশি মুবাহ, মাকরূহ ও নিষিদ্ধ কাজগুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বাইতুল্লাহ তাওয়াফের সময় উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। তাওয়াফের ব্যাপারে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/পিআর