জাতীয়

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৭ শুরু আজ (১ আগস্ট, মঙ্গলবার)। নানা আয়োজনে আজ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পালিত হবে এ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

Advertisement

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) প্রাধান্য দিয়ে এ বছর পালিত হবে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। তাই এ বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’।

এবারের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয়টি মূলত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো কার্যক্রমকে টেকসইকরণের মাধ্যমে বিশেষত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকরা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করবে বলে লক্ষ্য স্থির করেছে সেগুলো অর্জনকে নির্দেশ করছে।

১৯৮১ সালের মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল কোড অব ব্রেস্ট সাবস্টিটিউট অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে মায়ের দুধের প্রতি প্রাধান্য বা গুরুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এর বিকল্প পণ্যের প্রচার বন্ধে রেডিও-টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়।

Advertisement

বাংলাদেশে ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর পয়লা আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয়ভাবে এই সপ্তাহ পালিত হয়।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে সুস্থ ও নিরোগ জাতি গঠনে সকল মাকে তাদের দুগ্ধপৌষ্য শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ খাদ্য, যা শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিশ্চিত করে। মাতৃদুগ্ধ শিশুর অধিকার। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মাতৃদুগ্ধপানের মাধ্যমে শিশুর সম্ভাবনাময় জীবনের শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুকে মায়ের দুধ ও ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো কার্যক্রমকে টেকসই করতে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সক্ষম হব। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারে প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল সোমবার বলেন, বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২০ ভাগ শিশু মারাত্বক অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির কারণে প্রতি বছর অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটে। অনেক শিশু খর্বাকৃত হয়ে বেড়ে ওঠে। এই অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বাড়াতে হবে।

Advertisement

আরএস/জেআইএম