চলতি মাসে ১৫ তারিখে ভারতের স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে ব্যাপক আয়োজন চলছে। এই আয়োজনে কোনও ত্রুটি থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ঘোষণা করেছেন। ঐক্য ও সাম্যের বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার দলের নেতারাই বার বার সাম্প্রদায়িকতার আগুন উস্কে দিচ্ছেন।
Advertisement
সোমবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন গোমাংস বহন বা গোহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি এবং হত্যার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেসময় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হুকুমদেব নারায়ণ যাদব।
দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় মুসলিমদের একটা কথা জেনে রাখা উচিত যে তাদের বেশিরভাগের পূর্বপুরুষরই হিন্দু ছিলেন। তারা হিন্দু দেব-দেবীর আরাধনা করতেন। তাই হিন্দুদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকা উচিত। হিন্দুরাও মুসলিমদের সম্মান করুন।’
জাতপাতের নামে দেশ জুড়ে লাগাতার গণপিটুনির ঘটনা চোখে পড়ছে। স্বঘোষিত গো-রক্ষক এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির হাতে নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এসব ঘটনার জন্য মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে নারাজ হুকুমদেব। সরকারের সুনাম নষ্ট করতে ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
Advertisement
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অসহিষ্ণুতা ও জাতপাত নিয়ে ব্যাপক হারে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়েছে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোমাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটু এদিক ওদিক হলেই গণপ্রহারে মৃত্যু যেন অবধারিত হয়ে উঠেছে। সব কিছু দেখেও নির্বিকার রয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
টিটিএন/জেআইএম