জাতীয়

শিডিউল বিপর্যয়ে ফাঁকা হজক্যাম্প

ই-ভিসা না পাওয়া হজযাত্রীদের কারণে বিপর্যয় নেমে এসেছে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের হজ ফ্লাইটের শিডিউলে। ই-ভিসা জটিলতার কারণে এ পর্যন্ত এয়ারলাইন্স দুটির ৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ৯টি ফ্লাইটের মধ্যে ৩টি সৌদি এয়ারলাইন্স ও ৬টি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ডেডিকেটেড ফ্লাইট।

Advertisement

ফ্লাইট জটিলতার কারণে হজক্যাম্পে হজযাত্রীদের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। হজক্যাম্পে দু্ইশ হজযাত্রীর সমাগমও দেখা যায়নি। ভিসা জটিলতার কারণে শুক্রবার থেকে ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয় দেখা দেয়। পরপর ৯টি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে হজক্যাম্প হজযাত্রী শূন্য হতে শুরু করে।

সোমবার সরেজমিনে হজক্যাম্পে গিয়ে দেখা যায়, কনফার্ম টিকিট কেটে হজক্যাম্পে ইহরামের কাপড় পরে হজের নিয়তে প্রহর গোনা ৪ হাজারের মতো হজযাত্রী নির্বাক আর হতাশ হয়ে বসে আছেন। করে তাদের ই-ভিসা ঝামেলা কাটবে কেউ বলতে পারছেন না। অনেকের মোয়াল্লেম সময় মতো দেখা করার মন্ত্র পড়িয়ে নিখোঁজ হয়ে আছেন। কারো কারো এজেন্ট আজ-কাল বলে বলে সান্ত্বনা দিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারী জাগো নিউজকে বলেন, ভিসা জটিলতার কারণে ডেডিকেটেড ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হচ্ছে। কম সংখ্যক এ ধরনের ফ্লাইট বাতিল না করে উপায় নাই। ফ্লাইটগুলোকে আবার খালি নিয়ে আসতে হয়। সামান্য হজযাত্রী নিয়ে যাওয়ার চেয়ে ফ্লাইট বাতিল করে পরে ফুল ফ্লাইট পাঠানো গেলে সবার জন্যে ভালো।

Advertisement

তিনি আরো বলেন, ভিসা জটিলতা কাটিয়ে হজের পর্বগুলো যথাযথভাবে পালনে হজ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও সংস্থাকে আরো আন্তরিক হওয়া দরকার। সবার দোয়া ও সহযোগিতা থাকলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এ দিকে হজক্যাম্পের কষ্টকে কিভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে হজযাত্রী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, কি আর বলবো ভাই আল্লার দরবারে হাজিরা দিতে যাচ্ছি। তাই কষ্ট পেলেও কেউ টু শব্দ করছি না ঠিকই, তবে আল্লাহ কিন্তু সবই দেখছে। আল্লাহর মেহমানদের কেউ যদি ইচ্ছাকৃত কষ্ট দেন তবে তিনি তার জন্যে কঠিন হবে বলেও মনে করেন আব্দুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, এ বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে বিমান পরিবহন করবে ৬৩ হাজার ৫০০ হজযাত্রী। গত বছর ১ লাখ ১ হাজার ৮২৭ হজযাত্রীর মধ্যে ৪৯ হাজার ৫৪৫ হজযাত্রীকে বাংলাদেশ বিমান পরিবহন করে। সর্বশেষ ২৯ জুলাই পর্যন্ত ২১ হাজার ১১০ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।

চলতি বছর নিবন্ধন সম্পন্ন করে হজ পালনের জন্য প্রস্তুত এমন ২০ হাজার হজযাত্রীর ই-ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে হজ করেছেন এমন যাত্রীদের জনপ্রতি দুই হাজার সৌদি রিয়েল পরিশোধ না করলে ই-ভিসার আবেদনপত্র গ্রহণ করছে না সৌদি দূতাবাস।

Advertisement

আরএম/এআরএস/জেআইএম