শিশুকে মায়ের দুধ ও ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ানো কার্যক্রমকে টেকসই করতে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান আনান।
Advertisement
আজ (১ আগস্ট) ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ- ২০১৭ পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাতৃ ও শিশু পুষ্টি বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সক্ষম হব। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের এবারে প্রতিপাদ্য ‘মাতৃদুগ্ধপান টেকসই করতে আসুন ঐক্যবদ্ধ হই’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি বলেন, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম চাবিকাঠি। প্রত্যেক শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো, পরিবেশগতভাবে একটি টেকসই ও শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর ফলে শিশুর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। একটি সুস্থ ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে ওঠে। যার মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গত সাড়ে আট বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি এবং মাতৃ ও শিশু পুষ্টি উন্নয়নের কার্যক্রম টেকসই করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। প্রতি জেলায় একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীকালে প্রতিটি হাসপাতালে একজন করে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, গুঁড়োদুধ ও কৌটাজাত শিশুখাদ্যের ব্যবহারকে সর্বনিম্নস্তরে নামিয়ে আনতে ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন) আইন, ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সর্বস্তরে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর অগ্রগতির ধারাকে জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুষ্টি সেবা ও বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনসহ সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মিলিতভাবে কাজ কাজ করতে হবে।সর্বশেষ ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৭’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।
এফএইচএস/আরএস/জেআইএম
Advertisement