দেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির নিরাপত্তা বাড়াতে শুরু হওয়া সংস্কার কাজ ধীর গতিতে চলছে। ইউরোপীয় ক্রেতাদের পরিদর্শনের পর অনিরাপদ ঘোষিত কারখানাগুলোর মধ্যে এই প্রথম দু`টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি সকল ধরনের সংস্কার সম্পন্ন করেছে। এ বিষয়ে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, সংস্কারে যে পরিমাণ অর্থ দরকার তা অনেক কারখানার নেই।ঢাকার কাছে গাজীপুরে অবস্থিত দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পরিদর্শনের পর যে কারখানাগুলোতে ত্রুটি পাওয়া গিয়েছিল তাদের মধ্যে এই প্রথম দুটো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি সকল ধরনের সংস্কার সম্পন্ন করেছে। একর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েস বলছেন, আমাদের পরিদর্শন করা দুটো কারখানা অগ্নি ও কাঠামোগত নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎবিষয়ক ত্রুটি সবই সংস্কার ও মেরামত করেছে।তিনি বলেন, একর্ডের পরিদর্শকরা কারাখানা দুটোতে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছে, এবং তারা আশা করছেন অন্যরাও তাদের পথ অনুসরণ করকে। মি. ওয়েস অবশ্য বলছিলেন, এসব কারখানার নিরাপত্তার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখন যা দরকার পড়বে সেই অনুযায়ী সবসময়ই সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে।ইউরোপীয় ও মার্কিন ক্রেতাদের দুটি প্লাটফর্মের ইঞ্জিনিয়ার ও পরিদর্শকরা এ পর্যন্ত ২৫০০ মতো পোশাক কারখানা পরিদর্শন করে প্রতিটিতেই কোনো না কোনো ধরনের ত্রুটি দেখতে পেয়েছে।রব ওয়েস বলছেন, বহু কারখানায় তারা ত্রুটি পেয়েছেন যাদের সংস্কারের কাজ খুব ধীর গতিতে এগুচ্ছে। যে কারখানাগুলো আমরা পরিদর্শন করেছি তাদের প্রতিটিতেই কোনো না কোনো ত্রুটি আমরা চিহ্নিত করেছি।তবে কতোগুলো কারখানায় ত্রুটি রয়েছে তা নিয়ে একর্ড ও অ্যালায়েন্স সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশে পোশাক খাতে মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।সংগঠনটির একজন সভাপতি মো. নাসিরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলছেন, মালিকেরা এ ধরনের সংস্কারে ব্যাংক থেকেও অর্থ পাচ্ছে না। সে জন্যে যাদের টাকা কম তাদের পক্ষে এসব সংস্কার সমস্যা।উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসে ১১শ`র বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের পোশাক খাত ব্যাপক ইমেজ সংকটে পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিদেশি ক্রেতাদেরও যে দায়িত্ব রয়েছে সে বিষয়টি উঠে আসে।জেআর/বিএ/পিআর
Advertisement