পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাত থেকে মোট আয় হয়েছে ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এর আগের অর্থবছরের (২০১৫-১৬ সাল) তুলনায় ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
Advertisement
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি করে মোট ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছিল।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৯৬ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সমাপ্ত অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, পাটের সুতা রফতানিতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
Advertisement
পক্ষান্তরে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) কাঁচা পাট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার, পাটের সুতা ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
এ সময়ে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম।
একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ কমেছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
Advertisement
বিগত অর্থবছরে পাটের সুতা রফতানিতে আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৭৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ০৩ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
সমাপ্ত অর্থবছরে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে আয় ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রফতানি করে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে রফতানি আয় কমেছে ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এমএ/এমএমজেড/আরএস/পিআর