ধর্ম

তাওয়াফের সময় যে কাজ মুস্তাহাব

হজ ও ওমরার জন্য বাইতুল্লাহর তাওয়াফ ফরজ এবং রুকন। হজ ওমরা ছাড়াও তাওয়াফই একমাত্র ইবাদত; যার কোনো সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। শুধুমাত্র জামাআতে নামাজ আদায়ের সময় ব্যতীত তাওয়াফ করতে নিষেধ নেই। তাই তাওয়াফের হুকুম আহকাম যথাযথ আদায় করা জরুরি।

Advertisement

তাওয়াফের আহকাম ও শর্ত-, ওয়াজিব- ও সুন্নাত- ইতোপূর্বে তুলে ধরা হয়েছে। আর এখানে তুলে ধরা হলো তাওয়াফের সময় যে কাজগুলো মুস্তাহাব; তার বিবরণ-

তাওয়াফের মুস্তাহাব>> হাজরে আসওয়াদের ডানদিক থেকে এমনভাবে তাওয়াফ শুরু করা; যাতে তাওয়াফকারীর গোটা দেহ হাজরে আসওয়াদের সামনে দিয়ে অতিক্রমকালে তার বরাবর হয়ে যায়।

>> হাজরে আসওয়াদকে তিনবার চুম্বন করা এবং তার ওপর কপাল ঠেকিয়ে নিজের আবেদন-আকুতি প্রকাশ করা।

Advertisement

>> তাওয়াফকালে হাদিসে বর্ণিত দোয়াসমূহ পাঠ করা।

>> ভিড় না থকলে এবং কারো কষ্ট পাওয়ার আশংকা না থাকলে বাইতুল্লাহ ঘেঁষে তাওয়াফ করা।

>> মহিলাদের জন্য রাতে তাওয়াফ করা।

>> যদি কেউ তাওয়াফ ছেড়ে দেয় বা মাকরূহ পন্থায় তাওয়াফ সম্পন্ন করে তবে পুনরায় তাওয়াফ করা।

Advertisement

>> তাওয়াফের সময় বৈধ বা মুবাহ কথাবার্তা না বলা।

>> তাওয়াফে একাগ্রতার বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কোনো কাজ না করা।

>> দোয়া এবং জিকির এমনভাবে করা যাতে অন্যের সমস্যা না হয়। অর্থাৎ নিচু স্বরে দোয়া পড়া।

>> রুকনে ইয়ামেনিতে ইস্তিলাম (স্পর্শ) করা।

>> আকর্ষণীয় বস্তু তথা এদিক-সেদিক তাকানো থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওয়াফ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার সময় ওয়াজিব ও সুন্নাতের সঙ্গে সঙ্গে মুস্তাহাব বিষয়গুলোর প্রতিও যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম