গত বছর বয়কট করলেও এবার নাগরিকদের পবিত্র হজব্রত পালনের সুযোগ দিচ্ছে ইরান। এবার প্রায় ৯০ হাজার ইরানি সৌদি আরবে যাচ্ছেন হজ করতে।
Advertisement
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দুই দেশ সৌদি ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কের টানোপোড়েনের জের ধরে গত বছর হজ বয়কট করে ইরান। খবর- রয়টার্সের।
গত রোববার ইরানি হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে তিনটি ফ্লাইট। এসব ফ্লাইটে অন্তত ৮০০ জন ইরানি এসেছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ইরানের হজ সংস্থার পরিচালক নাসরুল্লাহ ফারাহমান্দ।
তিনি বলেন, এ বছর ইরান থেকে ৮৫ হাজার ৫০০ লোক হজে অংশ নিতে যাবেন। এছাড়া হজের সময় ইরানিদের সহায়তার জন্য ৮০০ জন সমন্বয়ককে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
এরআগে ২০১৫ সালের হজে সৌদি আরবে ক্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকশ হাজি নিহত হন। এদের মধ্যে ইরানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক ছিলেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়। মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে দুই প্রভাবশালী দেশের এ বিরোধের জের ধরে পরের বছর নিজেদের নাগরিকদের হজে যেতে দেয়নি ইরান।
এদিকে, রোববার হজ সংগঠকদের উদ্দেশে এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী বলেন, ইরানিরা কখনোই ২০১৫ সালের হজের বিপর্যয়কর ঘটনা ভুলবে না। তবে আগত সব হজযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান খামেনী।
এছাড়া সম্প্রতি ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের হেনস্তার প্রতিবাদে ইসরালের প্রতি হজে ‘প্রতিক্রিয়া’ দেখাতে বলেছেন হজযাত্রীদের। তবে এ প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তা বলেননি তিনি।
গত বছর সৌদিতে শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর বিক্ষুব্ধ ইরানিরা তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা করে। এর জের ধরে শিয়াপ্রধান ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সুন্নিপ্রধান দেশ সৌদি।
Advertisement
তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি সফরে যায় ইরানের একটি প্রতিনিধিদল। ওই উদ্যোগের ফলে দুইপক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে আবারও হজে যাচ্ছেন ইরানিরা। তবে প্রভাবশালী এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ সবসময়ই ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
এসআর/জেআইএম