আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুরু হওয়া সংলাপে আমন্ত্রিতদের অনেকেই চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। এজন্য আজ সোমবার অনুষ্ঠেয় সংলাপে তারা যোগ দিতে পারছেন না। অন্য কারণ মিলিয়ে কমপক্ষে ১১ জন সংলাপে অংশ নিচ্ছেন না। অামন্ত্রিতদের ৫৯ জনের মধ্যে শুধু ২২ জন সংলাপে অংশ নেবেন বলে নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান রোববার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, ইসির সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য ৫৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়েছে। পরে ইসি থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ১১ জন অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। ব্যস্ততা ছাড়াও তাদের মধ্যে কমপক্ষে আটজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ২২ জন সংলাপে আসবেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন। অন্যান্যদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা আসতেও পারেন নাও পারেন। ইসি সূত্র জানায়, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, রোকেয়া এ রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল হাফিজ, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন্সের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, এইচ এম কাশেম, ড. কাজী খলীকুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও বিচারপতি গোলাম রব্বানী এই সংলাপে অংশ নিতে পারবেন না। এদের মধ্যে আটজনের চিকুনগুনিয়া হয়েছে। তবে কার কার এ রোগ হয়েছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসি।
ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন ২২ জন
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাদত হোসেন, ব্রতি’র সিইও শারমিন মুরশীদ, ড. জহুরুল আলম, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, মুভ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল হক, ড. আবুল হাসান চৌধুরী, সেন্ড-এর নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গায়েন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহম্মদ, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, মো তোফায়েল আহম্মেদ, অধ্যাপক ড. অজয় রায়, ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, এম হাফিজ উদ্দীন খান, নিজেরা করি-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খুশী কবির, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সঞ্জীব দ্রং, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন প্রমুখ ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন।
Advertisement
নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় এই সংলাপ অাজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল।
কিন্তু রোববার নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা দুই সেশনে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুপুর ১টার লাঞ্চের বিরতির পর দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে। আমরা সবার কথা শুনতে চাই। আর এজন্যই সংলাপের আয়োজন করেছি।
জানা যায়, সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনদের বক্তব্য বাদে ইসির আলোচ্যসূচির সাতটি বিষয়ে আমন্ত্রিতদের প্রত্যেকে তাদের মতামত দিতে পারবেন। এইচএস/জেডএ
Advertisement