দেশজুড়ে

শিক্ষকের ঘুষিতে নাক ফাটলো পুলিশের

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় শিক্ষকের ঘুষিতে নাক ও মুখ ফেটে যাওয়ায় আবুল কালাম নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন একটি মুদি দোকানের সামনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। আবুল কালাম (কনস্টেবল নং ২৮৫)। তিনি সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মারুফ হাসান আল-নেমেরী ওরফে সুজন। তিনি সাদুুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাজাকালাই (মহেশপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পালানপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হাজীর ছেলে। ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবুল কালাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে বের হয়ে একটি মুদির দোকানে পণ্য ক্রয় করতে যান। এসময় দোকান সংলগ্নে দাঁড়ানো সহকারী শিক্ষক সুজন কয়েকজনকে নিয়ে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উচ্চস্বরে খারাপ মন্তব্য ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পুলিশের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য শুনে আবুল কালাম প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে আবুল কালামের সঙ্গে সুজন ও অন্যদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারি কিল ঘুষি মারলে আবুল কালামের নাক ও মুখ ফেটে যায়। তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ  ঘটনাস্থল থেকে আবুল কালামকে উদ্ধার করেন। এসময় সুজনসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। প্রথমে আবুল কালামকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাদুল্যাপুর থানার সেকেণ্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সুজনকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অমিত দাশ/এমজেড/এমএস

Advertisement