জাতীয়

ভর্তুকি থাকলেও বিদ্যুতের দাম বাড়াবেন মুহিত

বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ব্যাপক হারে কমেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতে লাভ হচ্ছে। দেশের বাজারে তেলের দাম এখনও সমন্বয় করা হয়নি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সম্প্রতি জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসির) জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি রাখছেন মুহিত। তবে খারাপ সংবাদ বিদ্যুতের সাধারণ গ্রাহকদের জন্য। এ খাতে ভর্তুকি থাকলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।সূত্র বলছে, চলতি অর্থবছর বিপিসির জন্য প্রায় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখার চিন্তা করছেন মুহিত। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।সূত্র আরো জানায়, গত অর্থবছরের মতো এবারও জ্বালানি তেল আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। শুল্ক বাড়ানো হলে আমদানি খরচও বাড়বে। এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও খরচ কমেছে। তবুও গতবারের চেয়ে বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ।তবে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে সরকার বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় বছরের শুরুতে। কিন্তু নানা সূচক বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সরকার সেটি নিয়ে আর কথা বলছে না। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তাদের শুনানি করে সরকারের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়ে রেখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে।বিদ্যুৎ খাতের জন্য ভর্তুকি রাখা হতে পারে আট হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছর এই ভর্তুকি সাত হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে নিতে সরকার কাজ করছে। তাই নতুন বাজেটে অগ্রাধিকার পাবে বিদ্যুৎ খাত।সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার ফলে আমদানিতে খরচ কমেছে। প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা জ্বালানি তেলে ভর্তুকি রাখা হয়। গত কয়েক বছর এই ভর্তুকির পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতিবছরই বাজেটের মোট ভর্তুকির সিংহ অংশ জ্বালানির জন্য চলে যায়। এবার সেই জ্বালানি তেল কেনার জন্য ভর্তুকি প্রয়োজন হবে না।বিদ্যুৎ খাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সাত হাজার ২০০ কোটি টাকা লোকসান ধরে ভর্তুকি রাখা হয়েছিল। এবারও আপাতত বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে বিক্রি করার কারণে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিদ্যুতে লোকসান হয় ছয় হাজার কোটি টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে পাঁচ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ছয় হাজার ৩৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল।এসএ/আরএস/এসআরজে

Advertisement