তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করা হজ ও ওমরার রুকন। কিন্তু এ তাওয়াফের মধ্যে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত কাজ। যা হজ ও ওমরার সময় পালন করতে হয়।
Advertisement
ইযতিবা ও রমলের মতো হাজরে আসওয়াদ চুম্বন ও ইস্তিলাম থেকে শুরু করে তাওয়াফে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত কাজ। যা জানা সব হজ ওমরা ও যিয়ারতকারীদের জন্য জরুরি। তাওয়াফের সুন্নাতগুলো তলে ধরা হলো-
তাওয়াফের সুন্নাত>> হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করা।>> তাওয়াফ শুরু করার আগে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করা।>> হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা। ভিড়ের কারণে চুম্বন বা স্পর্শ করতে না পারলে তাকবিরে তাহরিমার মতো উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে ইশারা করা ও বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলা।>> তাওয়াফের সময় ইযতিবা করা। অর্থাৎ গায়ের চাদরের এক মাথা বাম কাঁধের ওপর থেকে পিঠের পিছনে দিয়ে নিয়ে ডান বগলের নিচে দিয়ে এনে বুকের ওপর দিয়ে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে পেছনে ফেলা।>> তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা। রমল হলো বীরদর্পে চলা।>> পরবর্তী ৪ চক্কর রমল না করে স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করা।>> বিরতি না দিয়ে তাওয়াফের চক্করগুলো ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করা।>> তাওয়াফের সময় শরীর পরিধেয় বস্ত্র নাপাকি (নাজাসাতে হাকিকি) থেকে পবিত্র হওয়া।
মনে রাখতে হবে-যে তাওয়াফে রমল ও ইযতিবা রয়েছে, সে তাওয়াফ করার সময় নামাজ শুরু হলে গায়ের চাদর ঠিক করে নিতে হবে। নামাজের পর বাকি চক্কর সম্পন্ন করার জন্য পুনরায় ইযতিবা করে শুরু করা। আর চক্করের যে স্থানে থাকাবস্থায় ইকামত শুরু হবে, সেখানেই নামাজের প্রস্তুতি নেয়া। নামাজের পর সেখান থেকেই চক্কর সম্পন্ন করা। আর যারা হজ ও ওমরার জন্য তাওয়াফ করবেন, তাদের তাওয়াফে রমল এবং ইযতিবা নেই।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত তাওয়াফের সময় সুন্নাত কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর